Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 8:21 pm

জিপিএইচ ইস্পাতের ঋণমান ‘এএ মাইনাস’ ও ‘এসটি-২’

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফারেটিং)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। আর আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে।

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ৬৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১২ পয়সা (লোকসান) অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস ৭৮ পয়সা বেড়েছে। চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭৬ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৮০ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৯৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ২ টাকা ১১ পয়সা ছিল।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৮৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৬২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৪৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪৫৬টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ২৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩২ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ নগদ (শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য) ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৮ পয়সা আর ৩০ জুন, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের সাড়ে পাঁচ শতাংশ নগদ ও সাড়ে পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৪২ পয়সা আর ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৭৯ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে সাত টাকা ১৫ পয়সা (ঘাটতি)।

২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৯ টাকা ৮৬ পয়সা।