নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ইস্পাত খাতের কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাতের ছোট কুমিরার কারখানায় গতকাল সকালে এক ভয়াবহ চুল্লি দুর্ঘটনায় ১১ শ্রমিক গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
সীতাকুণ্ড থানা সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরায় অবস্থিত জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় লোহা গলানোর ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়েছে। গতকাল ভোর ৬টায় এ দুর্ঘটনায় ১১ শ্রমিক দগ্ধ হন। দগ্ধ শ্রমিকরা হলেন সোলায়মান, মিনহাজুল ইসলাম, শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, আলাউদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, মি. দমিনি, ইউসুফ। একজনের নাম জানা যায়নি। এর মধ্যে শাহ আলম, সোলায়মান, দমিনি, ইউসুফ, আনোয়ার হোসেন ও মিজানুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান বার্ন ইউনিটের ডাক্তাররা। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. আলাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সকালে জিপিএইচের কারখানায় অগ্নিদগ্ধ ১১ জন শ্রমিককে আনা হয়। এর মধ্যে আটজনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বান ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ডা. মৃণাল কান্তি বড়–য়া শেয়ার বিজকে বলেন, সাধারণত কোনো ব্যক্তির শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেলে আমরা তাকে আশঙ্কাজনক বলে থাকি। এখানে চারজনই আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসা করার মতো সক্ষমতা আমাদের নেই, যা শুধু ঢাকায় করা সম্ভব। আর কোম্পানিটি তাদের ঢাকায় নিয়ে গেছে।
জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুলর সঙ্গে ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে জিপিএইচ ইস্পাতের মিডিয়া উপদেষ্টা ওসমান গণি চৌধুরী শেয়ার বিজকে বলেন, গতকাল সকালে এ দুর্ঘটনা হয়। আর সিরিয়াসভাবে অগ্নিদগ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ডিএসইতে গতকাল দিনশেষে এ শেয়ারের দর ছিল ৪০ টাকা ২০ পয়সা। তবে দিনভর দর ৪০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৪১ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। আর গত এক বছরে সবনি¤œ দর ছিল ২৬ টাকা ও সর্বোচ্চ দর ৫০ টাকা ৫০ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ১২৪ কোটি ৭৪ লাখ। মোট শেয়ারের মধ্যে ৫৬ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১২ দশমিক ৯১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৩১ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।
