Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 3:15 pm

জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন: আইনমন্ত্রী

প্রতিনিধি, কুবি: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এদেশের অনেকে মনে করেন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু তিনি তার শাসনামলে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো মামলা করতে দেননি। তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটাকেও বাতিল করেননি। ১৯৯৬ সালের আগে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করেনি কোনো সরকার। জিয়া যদি বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত না থাকে, তাহলে তারা কেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করেননি। জিয়া শুধু হত্যা করেননি, যারা হত্যা করেছে তাদের সবাইকে নিরাপদে বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন। এসবেই তো প্রমাণিত হয় তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গতকাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ (ওমর-জাহিদ) একাংশের আয়োজিত ‘শোকের আগস্ট, শপথের আগস্ট’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনোই শুধু আওয়ামী লীগে সীমাবদ্ধ থাকতে চাননি। তিনি সবাইকে নিয়ে সমৃদ্ধির একটি বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এ চাওয়াটার জন্যই তাকে টার্গেট করে দুষ্কৃতকারীরা। তাদের ধারণা ছিল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে শেষ করে দিতে পারলেই বাংলাদেশকে শেষ করে দেয়া যাবে। যার ফলে তারা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সব আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি দোসররা। পরাজয়ের গ্লানি থেকেই মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।

সভায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একজন বিশ্বনেতা। তিনি সবসময় শোষিত মানুষের পক্ষে কাজ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে ক্ষান্ত হননি, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশকে গড়ার দায়িত্বও নিজ কাঁধে নিয়েছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করলেও তার আর্দশ ধারণ করতে পারিনি। তার আদর্শের মধ্যে দুর্নীতি ছিল না, অনিয়ম ছিল না, কিন্তু আমরা এখনও দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারিনি। বিশ্বের পরাশক্তিরা কখনও বঙ্গবন্ধুকে সহ্য করতে পারেনি, তারা সবসময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে সপরিবারে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. এসএ মালেক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক, কুবি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।