শেয়ার বিজ ডেস্ক: আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর জোট ‘জি-২০’-এর শীর্ষ সম্মেলন। এ সম্মেলনের আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-২০-এর ‘বিশেষ সম্মেলন’। জোটের বর্তমান সভাপতি ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মানবিক ইস্যুসহ সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে আফগানিস্তান ইস্যু। খবর: এনডিটিভি, রয়টার্স।
ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আফগানিস্তানের তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তোড়জোড় চালাচ্ছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও আলোচনায় অংশ নিয়েছে তালেবান সরকার। পাশাপাশি মিত্র চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে শুরু থেকেই সখ্য রয়েছে তালেবানের।
আফগানিস্তান ইস্যুতে এ সম্মেলন আন্তর্জাতিকভাবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত আগস্ট মাসে তালেবান অধিকৃত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মানবতার প্রয়োজন ও আফগান জনগণের ন্যূনতম চাহিদাসংক্রান্ত বিষয় সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে। এছাড়া সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, মানবাধিকার ও উদ্বাস্তু সমস্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনার কথা রয়েছে।
বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছ, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো নিয়ে গঠিত জি-২০ ঐকমত্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আফগানিস্তানে মানবতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে জি-২০ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর জোটের সভাপতি মারিও দ্রাঘি বিশ্বের ২০টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে এ সম্মেলনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এ সংকটের পরিস্থিতিতে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর উচিত আফগান জনগণের পাশে দাঁড়ানো। আফগানিস্তানের মসনদে তালেবান বসার পর থেকেই দেশের জনগণ ও নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমেই আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ বাড়ছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।’
ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালেবানের বৈঠক: কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তালেবানের প্রতিনিধিদের। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের মধ্যস্থতা করে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকের শুরুতে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ দূত মুতলাক আল কাহতানি বলেন, আরগান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া এখন মুখ্য বিষয় নয়। নতুন প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া এবং মানবিক সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দেয়া উচিত।
দোহায় গত শনিবার ও রোববার যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেন তালেবানের প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র।