শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে ভারত সরাসরি কোনো বিরোধিতা করেনি। এ কারণে গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭) বৈঠকে ভারতকে ডাকা উচিত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে জার্মানি। খবর: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও দেশটি থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে জার্মানি ও পোল্যান্ড। এ কারণে অন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে জার্মানি ও পোল্যান্ড।
জি-৭ বৈঠকে জার্মানি এরই মধ্যে সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়াকে আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে ভারতকে ডাকা হবে কি না, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জার্মানির প্রশাসনের মুখপাত্র স্টিফেন হেবেসট্রিট জানান, ইউক্রেন যুদ্ধের আগে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, যাদের জি-৭ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেই তালিকায় ভারতের নাম ছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের জেরে সব সমীকরণ পাল্টে যেতে থাকে। আয়োজক দেশ শিগগির অতিথিদের তালিকা চূড়ান্ত করবে এবং অংশগ্রহণকারীদের নাম প্রকাশ করবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বেশ কয়েকটি দেশ বিরত ছিল। এর মধ্যে ভারত অন্যতম। শুধু তা-ই নয়, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ভারত তা করেনি। ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে। সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে দেশটি রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও চীন ক্রমাগতভাবে ভারতের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে।
ভারতকে জি-৭ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও রুশনির্ভরতার কারণে এরই মধ্যে সমালোচিত হয়েছে জার্মানি। জার্মানি ও পোল্যান্ড রাশিয়ার ওপর অনেকাংশে নির্ভর। যদিও জার্মানি ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে রুশনির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে। তবে দেশটির কলকারখানাগুলোয় প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভর না করে উপায় নেই।
আগামী জুনে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত হবে জি-৭ বৈঠক।