Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 10:36 pm

জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছেই

ইসমাইল আলী: জ্বালানি তেলের দাম ৫ আগস্ট মধ্যরাত থেকে বাড়ানো হয়েছে। গড়ে ৫০ শতাংশ হারে বেড়েছে তেলের দাম, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন খাতে। এরই মধ্যে বেড়েছে বাস-ট্রাকের ভাড়া। কৃষি খাতে সেচের খরচও বাড়বে। এর আগে জুনে বেড়েছে গ্যাসের দাম। এছাড়া আগামী মাসে ঢাকা ওয়াসা পানির দাম বাড়াতে যাচ্ছে। অন্যান্য শহরেও পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি শিগগিরই বাড়তে যাচ্ছে বিদ্যুতের দাম।

সব মিলিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলেছে। গত ১৩ বছরে প্রতিটি সেবা খাতে ব্যয় দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি বেড়েছে, তবে সে অনুপাতে বাড়েনি মানুষের আয়। ফলে প্রকৃত আয় কমে গেছে। ফলে সবচেয়ে কষ্টে আছেন নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা।

বিভিন্ন সেবা খাতের ব্যয় বৃদ্ধির চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৩ বছরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গ্যাসের দাম। সর্বশেষ ৫ জুন দাম সিএনজি ছাড়া বাকি সব খাতে বাড়ানো হয়েছে গ্যাসের দাম। এ সময় গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে গ্যাসের দাম। এর মধ্যে আবাসিকে মূল্য বৃদ্ধির হার ছিল এক চুলায় সাত দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, দুই চুলায় ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও মিটারযুক্ত চুলায় ৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

বর্তমানে এক চুলার গ্যাস বিল দাঁড়িয়েছে ৯৯০ টাকা, দুই চুলায় এক হাজার ৮০ টাকা ও মিটারযুক্ত চুলায় প্রতি ঘনমিটার ১৮ টাকা করা হয়েছে। আর ২০০৮ সালে এক চুলার বিল ছিল ৩৫০ টাকা ও দুই চুলার ৪০০ টাকা। এছাড়া মিটারযুক্ত বিল ৪.৬০ টাকা। অর্থাৎ সাড়ে ১৩ বছরে আবাসিকে গ্যাসের দাম বেড়েছে এক চুলায় প্রায় ১৮৩ শতাংশ, দুই চুলায় ১৭০ শতাংশ ও মিটারযুক্ত চুলায় (প্রতি ঘনমিটারে) ২৯১ শতাংশ।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৯ সালের জুলাই আবাসিকে গ্যাসের দাম বেড়ে দাঁড়ায় এক চুলায় ৪০০ টাকা ও দুই চুলায় ৪৫০ টাকা। আর মিটারভিত্তিক গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৫ টাকা ১৬ পয়সা। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে একমুখো চুলার বিল বেড়ে দাঁড়ায় ৬০০ টাকা ও দ্বিমুখী চুলায় ৬৫০ টাকা। আর মিটার গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম দাঁড়ায় সাত টাকা।

এরপর ২০১৭ সালের মার্চে আরও বেড়ে একমুখো চুলার বিল দাঁড়ায় ৭৫০ টাকা ও দ্বিমুখী চুলায় ৮০০ টাকা। আর সে সময় মিটারভিত্তিক গ্রাহকদের বিল বেড়ে দাঁড়ায় ঘনমিটারে ৯ টাকা ১০ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের জুলাইয়ে এক চুলার মাসিক বিল করা হয় ৯২৫ টাকা ও দুই চুলার ৯৭৫ টাকা। সে সময় মিটারভিত্তিক গ্রাহকদের গ্যাসের দাম বেড়ে হয় প্রতি ঘনমিটারে ১২ টাকা ৬০ পয়সা। এরপর গত জুনে বাড়ানো হয়েছে গ্যাসের দাম।

এদিকে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগে ২০০৮ সালের ২২ ডিসেম্বর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় প্রতি লিটার ডিজেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৪৬ টাকা, পেট্রোল ৭৪ টাকা ও অকটেন ৭৭ টাকা। এরপর ২০১১ সালে তিন দফা বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। এতে ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রতি লিটার ডিজেলের দাম পড়ে ৬১ টাকা, পেট্রোল ৯১ টাকা ও অকটেন ৯৬ টাকা। ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি তা আরও বেড়ে হয় যথাক্রমে ৬৮ টাকা, ৯৬ টাকা ও ৯৯ টাকা।

২০১৪ সালের পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করে। একসময় দাম অনেকটা কমলে সমালোচনার মুখে ২০১৬ সালে একবার দাম কিছুটা কমানো হয়েছিল। সে বছর ২৫ এপ্রিল প্রতি লিটার ডিজেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬৫ টাকা, পেট্রোল ৮৬ টাকা ও অকটেন ৮৯ টাকা। এরপর দাম আরও কমলেও বিপিসির মুনাফার পাল্লা ভারী হয়েছে, কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়নি।

উল্টো আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে গত নভেম্বরে ডিজেলের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে লিটারে ৮০ টাকা। আর সর্বশেষ ৫ আগস্ট সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়াােনা হয়েছে। এতে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা ও অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ হিসাবে সাড়ে ১৩ বছরে ডিজেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৪৮ শতাংশ, পেট্রোল ৭৬ শতাংশ ও অকটেন ৭৫ শতাংশ।

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরের দিনই (৬ আগস্ট) বাসভাড়া বাড়ানো হয়েছে। গড়ে ১৬ থেকে ২২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বাসভাড়া। এতে কিলোমিটারপ্রতি বাসভাড়া দূরপাল্লায় বেড়ে হয়েছে দুই টাকা ২০ পয়সা। আর ঢাকা-চট্টগ্রামে (সিটি সার্ভিস) বাসভাড়া বেড়ে হয়েছে প্রতি কিলোমিটারে দুই টাকা ৫০ পয়সা ও মিনিবাসে দুই টাকা ৪০ পয়সা।

বাসভাড়া বৃদ্ধির চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৯ সালে কিলোমিটারপ্রতি বাসভাড়া ছিল দূরপাল্লায় এক টাকা ২০ টাকা। সে সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামে বাসভাড়া ছিল এক টাকা ৫৫ পয়সা ও মিনিবাসে এক টাকা ৪৫ পয়সা। সিএনজির দাম বৃদ্ধির ফলে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাসভাড়া কিলোমিটারপ্রতি বেড়ে হয় এক টাকা ৬০ পয়সা ও মিনিবাসে এক টাকা ৫০ পয়সা। সে বছর ডিসেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে দূরপাল্লার বাসভাড়া বেড়ে হয় এক টাকা ৩৫ পয়সা।

২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দূরপাল্লার বাসভাড়া আরও বেড়ে হয় কিলোমিটারপ্রতি এক টাকা ৪৫ পয়সা। আর ২০১৫হয় এক টাকা ৭০ পয়সা ও মিনিবাসে এক টাকা ৬০ পয়সা। সে সময় বাসে ন্যূনতম ভাড়া সাত টাকা ও মিনিবাসে পাঁচ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে জ্বালানি তেলের দাম হ্রাসের কারণে ২০১৬ সালের মে মাসে দূরপাল্লার বাসভাড়া কমিয়ে কিলোমিটারপ্রতি করা হয় এক টাকা ৪২ পয়সা, যদিও বাস্তবে তা খুব একটা কার্যকর হয়নি।

এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে গত বছর নভেম্বর দূরপাল্লার বাসভাড়া বাড়িয়ে কিলোমিটারপ্রতি এক টাকা ৮০ পয়সা করা হয়। এ সময় সিটি সার্ভিসের বাসভাড়া দুই টাকা ১৫ পয়সা ও মিনিবাসে দুই টাকা পাঁচ পয়সা করা হয়। পাশাপাশি ন্যূনতম ভাড়া বাসে ১০ টাকা ও মিনিবাসে আট টাকা করা হয়। এরপর গত ৬ আগস্ট বাড়ানো হয় সব ধরনের বাসভাড়া। যদিও বাস্তবে সিটি সার্ভিসে নির্ধারিত হারে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ যাত্রীদের।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভিন্ন সেবা খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম। ১৪ বছরে ১৫ বার বাড়ানো হয়েছে ঢাকা ওয়াসার পানির বিল। সর্বশেষ আগামী মাসে পাঁচ শতাংশ হারে বাড়তে যাচ্ছে পানির দাম। এতে আবাসিকে প্রতি হাজার লিটার পানির দাম পড়বে ১৫ টাকা ৯৬ পয়সা। অথচ ২০০৯ সালে এ পানির দাম ছিল ছয় টাকা চার পয়সা।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান ২০০৯ সালের দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৬ সালে প্রতি বছর একবার করে বাড়ানো হয়েছে পানির দাম। আর ২০১৬ সালে দুবার বাড়ানো হয়েছিল পানির দাম। প্রতিবার লোকসান না হয় মূল্যস্ফীতি ইত্যাদি অজুহাতে পানির দাম বাড়ানো হয়। অন্যান্য শহরেও গত ১৪ বছরে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে কয়েক দফা।

ঢাকা ওয়াসা এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে পানির দাম নির্ধারণ করে প্রতি হাজার লিটারে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা, ২০২০ সালে যা ছিল ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা, ২০১৯ সালে ১১ টাকা ৫৭ পয়সা, ২০১৮ সালে ১১ টাকা ২০ পয়সা এবং ২০১৭ সালে ১০ টাকা ৫০ পয়সা। ১৪ বছরে দাম প্রায় তিনগুণ হলেও নিরাপদ পানি সরবরাহে বরাবরই ব্যর্থ ঢাকা ওয়াসা।

আবাসিকের পাশাপাশি আগামী মাসে ১৫তম বার বাড়তে যাচ্ছে বাণিজ্যিক গ্রাহকের পানির দামও। এতে প্রতি হাজার লিটার পানির দাম দাঁড়াবে ৪৪ টাকা ১০ পয়সা, ২০০৯ সালে যা ছিল ২০ টাকা ১১ পয়সা।

এদিকে আরেক সেবা খাত বিদ্যুতের দামও শিগগিরই বাড়ানো হয়েছে। এজন্য গত মে মাসে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইন অনুযায়ী, শুনানির ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে হয়। সে হিসাবে চলতি মাসের শেষ দিকে বা আগামী মাসে যে কোনো সময় বিদ্যুতের বৃদ্ধির ঘোষণা আসবে।

এর আগে ১০ বছরে ৯ বার বাড়ানো হয়েছে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। তথ্যমতে, ২০১০ সালের শুরুতে বিদ্যুতের গড় মূল্য ছিল গ্রাহক পর্যায়ে তিন টাকা ৭৩ পয়সা। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে সাত টাকা ১৩ পয়সা।  অর্থাৎ ১০ বছরে দাম বেড়েছে ৯১ দশমিক ১৫ শতাংশ। এছাড়া পাইকারি (বাল্ক) বিদ্যুতের দামও বেড়েছে।

২০২০ সালের মার্চে সর্বশেষ মূল্যহার কার্যকরের ফলে সাধারণ গ্রাহকদের ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম গুনতে হচ্ছে ৪ টাকা ১৯ পয়সা। এছাড়া ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিটের জন্য পাঁচ টাকা ৭২ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত ইউনিটের জন্য ছয় টাকা ও ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত ইউনিটের জন্য ছয় টাকা ৩৪ পয়সা হারে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া ৪০১ থেকে ৬০০ পর্যন্ত ইউনিটের জন্য ৯ টাকা ৯৪ পয়সা ও ৬০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের প্রতি ইউনিটে ১১ টাকা ৪৬ পয়সা হারে বিল গুনতে হবে।

যদিও ২০০৭ সালের মার্চে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত দুই টাকা ৫০ পয়সা, ১০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত তিন টাকা ১৫ পয়সা ও ৪০০ ইউনিটের ওপরে পাঁচ টাকা ২৫ পয়সা হারে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হতো। ২০১০ সালের মার্চে তা বাড়িয়ে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত দুই টাকা ৬০ পয়সা, ১০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত তিন টাকা ৩০ পয়সা ও ৪০০ ইউনিটের ওপরে পাঁচ টাকা ৬৫ পয়সা করা হয়েছিল।

তথ্যমতে, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১০ সালের মার্চে প্রথম বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ বাড়ানো হয়। সে সময় গড় বিদ্যুৎ বিল বেড়ে দাঁড়ায় তিন টাকা ৯২ পয়সা। পরের বছর (২০১১ সাল) গ্রাহক পর্যায়ে দুই দফা বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে বাড়ানো হয় পাঁচ শতাংশ ও ডিসেম্বরে ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। এতে বিদ্যুতের গড় দাম বেড়ে দাঁড়ায় চার টাকা ৬৭ পয়সা।

২০১২ সালেও খুচরা বিদ্যুতের দাম দুই দফা বাড়ানো হয়। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে বাড়ে সাত দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ ও সেপ্টেম্বরে বাড়ে ১৫ শতাংশ। এতে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের গড় মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ টাকা ৭৫ পয়সা। এরপর ২০১৪ সালের মার্চে বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়িয়ে করা হয় ছয় টাকা ১৫ পয়সা। আর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তা ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে হয় ছয় টাকা ৩৩ পয়সা।

এদিকে ২০১৭ সালে ডিসেম্বরে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়। সে সময় বিদ্যুতের গড় মূল্যহার ছয় টাকা ৮৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে ওইবারই প্রথম বিদ্যুৎ বিতরণকারী সব কোম্পানির জন্য অভিন্ন মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়। এতে ঢাকার চেয়ে বেশি গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের দাম বেশি হারে বাড়ে। এতে মূল্যহার কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছে গড়ে ছয় টাকা ৭৭ পয়সা। আর সর্বশেষ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের গড় মূল্যহার ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।