Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 2:55 pm

জীবনরহস্য উন্মোচন বিনা ২৩ ধানের

প্রতিনিধি, বাকৃবি: লবণাক্ততা ও বন্যা সহিষ্ণু ‘বিনা ধান-২৩’ এর পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স বা জীবনরহস্য ও বিভিন্ন জিন আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। ধানের জীবনরহস্য উন্মোচন দেশে এটিই প্রথম। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) একদল গবেষক এ গবেষণা পরিচালনা করেন। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) সভাকক্ষে এক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিনা মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।

বিনা মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে বাকৃবির গবেষক পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্যা ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বিনার প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামছুন্নাহার বেগম ও পিএইচডি শিক্ষার্থী মানস কান্তি সাহা গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

সম্মেলনে মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, সাধারণত বিনা উদ্ভাবিত জাতগুলোতে বিভিন্ন রেডিয়েশন প্রয়োগের মাধ্যমে জাত উন্নয়ন করা হয়। তবে এ রেডিয়েশনের প্রভাবে শুধু আমরা কি পরিবর্তন হচ্ছে, তা এতদিন জানতে পারতাম। কিন্তু জিনের কি ধরনের পরিবর্তন হয় তা আগে জানা সম্ভব হতো না। আমাদের এ উদ্ভাবনের ফলে এখন থেকে যে কোনো ধানের জাতের জিন পর্যায়ে কি ধরনের পরিবর্তন হয় তা নিশ্চিতভাবে জানা যাবে। 

গবেষণা সম্পর্কে অধ্যাপক বজলুর রহমান মোল্যা বলেন, বিনা উদ্ভাবিত বিনা ধান-২৩ একটি লবণাক্ত ও বন্যা সহিষ্ণু ধানের জাত। ২০১৯ সালে বাকৃবি ও বিনার গবেষকবৃন্দের প্রচেষ্টায় বিনাধান-২৩ ও তা থেকে উৎপন্ন তিনটি মিউটেন্ট (রেডিয়েশন দ্বারা প্রভাবিত জাত) ধানের জিনোম সিকোয়েন্স সম্পন্ন করা হয়; যা বাংলাদেশে প্রথম। এ জিনোম সিকোয়েন্স উদ্ভাবনের ফলে দেশে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই ধানের জাতে আমরা প্রতিকূল আবহাওয়া সহিষ্ণু ২৩টি জিন, উচ্চ ফলনশীল বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী ১৬টি জিন এবং চালের আকার-আকৃতির জন্য দায়ী চারটি জিন শনাক্ত করতে পেরেছি। যার মাধ্যমে বিনাধান-২৩ আগের ভ্যারিয়েন্ট থেকে অধিক ফলনশীল হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান ও প্রক্টর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন।