নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ২০২৩ সালের ৩০ জুনে জীবন বিমা তহবিলে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪৬ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময় শেষে এ তহবিলে উদ্বৃত্ত ছিল ১২ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিমা খাতের কোম্পানিটির চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট প্রিমিয়াম আয় থেকে বিমা দাবি পরিশোধসহ অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে ঘাটতি হয়েছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানিটির নিট প্রিমিয়াম আয় থেকে বিমা দাবি পরিশোধসহ অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে ঘাটতি হয়েছে ৯ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। মোট ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৯৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৫১ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৪১ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। গত ৫২ সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৪ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৫ হাজার ১টি শেয়ার মাত্র ৫ বার হাতবদল হতে দেখা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশের সুপারিশ করেনি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরের এজেন্ডাগুলোয় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ২০ আগস্ট। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে পদ্মা ইসলামী লাইফ। ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাববছরের জন্যও কোনো লভ্যাংশ পাননি কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৬ হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।