শেয়ার বিজ ডেস্ক: দূষণ বৃদ্ধি কমাতে এবং চড়া দামের কারণে উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর তাগিদ বাড়ছে। জার্মানির এক কোম্পানি স্মার্ট ফ্যাক্টরি রিটাল ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানে অবদান রাখছে। এজন্য বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর: ডয়চে ভেলে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে দরকার পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎস, যা দিয়ে যানবাহন চালানো ও উত্তাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। এজন্য আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। শিল্প-কারখানায় এই প্রবণতার অর্থ, জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে।
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের এই উৎপাদন কেন্দ্র ইউরোপের সবচেয়ে আধুনিক কারখানাগুলোর অন্যতম। সেখানে পাওয়ার কেবলের ডিস্ট্রিবিউশন বক্স তৈরি করা হয়। পণ্য হিসেবে আকর্ষণীয় না হলেও কর্মক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য।
কোম্পানির মালিক মার্কুস আশ বলেন, ডিস্ট্রিবিউশন বক্স অটোমেশন সমাধানসূত্রের চাবিকাঠি। সব ক্ষেত্রে অটোমেশনের প্রয়োজন রয়েছে। ডেটা সেন্টার, অটোমোটিভ কারখানা, বেকারি, রেলÑসবখানে ডিসট্রিবিউশন বক্স দেখতে পাওয়া যায়। এমনকি উইন্ডমিল, সোলার প্যানেল বা ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জিং স্টেশনও সেগুলো ছাড়া চালানো যায় না।
জার্মানির হেসে রাজ্যের এই কারখানায় দিনে ৮ হাজার ইউনিট তৈরি করা হয়। অথচ কর্মীসংখ্যা মাত্র ৩০০। মার্কুস আশ বলেন, এই কারখানার অভিনব বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে বড় আকারে সাধারণ পণ্য উৎপাদন করা যায়। আবার বিশেষ প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড পণ্যও বিশাল সংখ্যায় তৈরি করা সম্ভব। এর জন্য অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন। আমরা দুটোই করেছি।
জার্মানির উৎপাদকরা দেশটির মোট বিদ্যুতের প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যবহার করে। বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেছে। এই স্মার্ট ফ্যাক্টরি জ্বালানি সাশ্রয় করবে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। তাই রিটাল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, আগের তুলনায় জ্বালানির দামের বিষয়টি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে পণ্যের সংখ্যা বা দামের ভিত্তিতে কারখানা চালানো সম্ভব হবে না। জ্বালানির জোগান ও নির্দিষ্ট সময় জ্বালানির দাম অনুযায়ী উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।