শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সমাবেশ করেছেন হাজারো তরুণ। ‘ইয়ুথ ক্লাইমেট জাস্টিস’ শীর্ষক সমাবেশে যোগ দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা। তরুণদের সমর্থন জানাতে সমাবেশে যোগ দেন প্রবীণরাও। এ সময় তারা বিশ্বনেতাদের দ্রুত এ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছানোর দাবি জানান। খবর: সিএনএন।
ম্যানহাটনের ফোলে স্কয়ারে গতকা শনিবার দুপুর থেকেই জমায়েত হতে থাকেন কয়েক হাজার তরুণ। বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের দাবিতে এ সমাবেশের ডাক দেয় বেশি কয়টি পরিবেশবাদী সংগঠন। প্ল্যাকার্ড হাতে ক্লাইমেট জাস্টিসের পক্ষে নানা স্লোগান ও বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন তারা। তাদের দাবি, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনায় ফসিল ফুয়েল ব্যবহার বন্ধের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
এ দাবিতে তারা মিছিল নিয়ে ব্রুকলিন ব্রিজ পদক্ষিণ করেন। তরুণদের দাবিতে সংহতি জানান প্রবীণরাও। তরুণদের এ দাবিকে শক্তিশালী করতে র্যালিতে যোগ দিয়েছেন বলে দাবী করেন তারা। সমাবেশে আগতরা মনে করেন, দেশের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ভোট দেয়ার সময়েও জলবায়ুর নায্যতার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কামালা হ্যারিস বেশি আন্তরিক বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
সমাবেশে বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, ২০২৮ সালের আগেই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধে ঐক্যমতে পৌছতে হবে। এদিকে বিশ্বনেতারা নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বৈশ্বিক নীতি নিয়ে আলোচনা করতে যোগ দিচ্ছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই কূটনৈতিক মঞ্চকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত বিশ্বের বৃহত্তম পুলিশ বাহিনী এনওয়াইপিডি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালে যখন জাতিসংঘ গঠন করা হয়, তখন এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যত প্রজন্মকে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করা। সেসময় ৫১টি দেশ নিয়ে তৈরি হওয়া সংস্থাটির বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৩টি। এর বাইরেও পোপের অধীনে থাকা রোমের অঞ্চল হোলি সি বা ভ্যাটিকান সিটি এবং ফিলিস্তিনও জাতিসংঘের অন্তর্ভূক্ত।
পরিবেশ ও জলবায়ু থেকে শুরু করে, শিক্ষা, শিশু অধিকার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তিও সম্পন্ন হয়ে থাকে জাতিসংঘের তত্বাবধানে।