রংপুরের মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলায় উৎপাদিত প্রসিদ্ধ এ হাঁড়িভাঙ্গা আম সারা দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দেশে আম উৎপাদনের দিক থেকে রংপুর দ্বিতীয়।
রংপুর কৃষি বেতার তথ্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সায়েম জানান, হাঁড়িভাঙ্গা আম গাছ থেকে পাড়া শুরু হবে জুনের তৃতীয় সপ্তাহে। তবে প্রচণ্ড গরম কিংবা আবহাওয়া প্রতিক‚ল থাকলে নির্ধারিত সময়ের সপ্তাহখানেক আগেও বাণিজ্যিকভাবে এ আম বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।
এবার রংপুরে তিন হাজার পাঁচ হেক্টর জমিতে আমের ফলন হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙ্গার ফলন হয়েছে এক হাজার ৪৫০ হেক্টরে। গত বছর প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছিল ৯ দশমিক চার মেট্রিক টন। গত বছরের চেয়ে এবার আমের ফলন তুলনামূলক বেশি। সে হিসেবে হাঁড়িভাঙ্গার উৎপাদন হতে পারে প্রায় দেড় হাজার টন। ১৯৯২ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে হাঁড়িভাঙ্গা আমের চারা সম্প্রসারণ করেন পীরগঞ্জ উপজেলার আখিরাহাট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা আবদুস সালাম। প্রথম বছরই অভাবনীয় সাফল্য পান তিনি। তার সাফল্য দেখে পরে তা ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী উচাবালুয়া, পদাগঞ্জ, হেলেঞ্চ, আখিরহাট, পাইকারের হাট, গোপালপুর ও দুর্গাপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
চাষিরা জানান, কাঁচা অবস্থায় এ আমের রং সবুজ, যা পুষ্ট হলে কিছুটা সাদাটে হয়। পাকা অবস্থায় বোঁটার কাছাকাছি জায়গাটা সামান্য হলুদ হয়। ক্রমান্বয়ে নিচের দিকটা হালকা হলুদ হতে থাকে। শাঁস-আঁশবিহীন, পুরু। আঁটি বেশ পাতলা। একটি আমের ওজন ১৫০-৪৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফলের প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ খাওয়া যায়।
নুর আলম