জুবিলী ব্যাংক অবসায়নে প্রথম বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত জুবিলী ব্যাংক অবসায়নে প্রথম বৈঠক করেছে অবসায়ক কমিটি। গতকাল অনলাইনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, একজন ডেপুটি গভর্নর ও বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন। অন্যদিকে উচ্চ আদালত কর্তৃক নির্ধারণ করে দেয়া অবসায়ক এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরি মানিক অনলাইনে অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, ১৯১৩ সালের ১৫ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার জানিপুরে ‘খোকসা জানিপুর জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের ২৬ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নেয়।

১৯৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারি এটি নাম পরিবর্তন করে হয় ‘জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’। ব্যাংকটির কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট উপজেলার মধ্যেই সীমিত ছিল। এ হিসেবেই ব্যাংকটির অনুমোদন দেয়া হয়। মূলত সমবায়ভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে ব্যাংকটির অনুমোদন নেয়া হয়েছিল। এ জন্য সারাদেশে জুবিলী ব্যাংকের কোনো শাখা নেই।

পরবর্তী সময়ে ব্যাংকের মালিকানা ও পরিচালনায় সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য বিশেষায়িত ব্যাংকটি অবসায়নের জন্য উচ্চ আদালতের কাছে আবেদন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০২১ সালের নভেম্বরে ব্যাংকটি অবসায়নের পক্ষে রায় দেন উচ্চ আদালত। এ জন্য মাসিক দেড় লাখ টাকা সম্মানীতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরি মানিককে অবসায়ক হিসেবে নিয়োগ দেন উচ্চালত। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফারিয়া হককে অতিরিক্ত লিকুইডিটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ফি দিতে হবে।

দায়িত্ব পাওয়ার পর অবসায়নের প্রস্তুতি নিতে প্রথম বৈঠকটি গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে অবসায়কের দায়িত্ব নিয়োজিতদের। জুবিলী ব্যাংকের অবসায়নে সাচিবিক সহায়তা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। দায়িত্ব বুঝে নেয়ার ৯ মাসের মধ্যে অবসায়নের কাজটি চূড়ান্ত করবে বলে জানা গেছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০