নিজস্ব প্রতিবেদক : অবরোধ ও হরতালের নামে বিশেষ একটি মহল গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে নিরীহ নাগরিকদের হতাহতকরণসহ নাশকতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পাদনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চলছে। চলমান নাশকতার সহজ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কেউ যেন পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করাকে বেছে নিতে না পারে এবং পেট্রোল পাম্প থেকে পেট্রোল/জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে, সে লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে। গতকাল শনিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
এক. পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করবেন; দুই. সহকারী পুলিশ কমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন এবং কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন; তিন. প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও থানার ওসি নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলোর মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন; চার. নিজ নিজ পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক (২৪/৭) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; পাঁচ. প্রত্যেক পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রীকালীন ছবি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন; ছয়. সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/ অপারেশনস), ওসি, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন; সাত. পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করবেন; আট. রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে সব ধরনের যানবাহন পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ করতে না দেওয়া; নয়. লুজ/খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা, তবে বাড়ি/ফ্যাক্টরি/প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা; দশ. পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮-এর লাইসেন্সের শর্তাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যে কোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।