নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ০১ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্য দিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ১ টাকা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৫৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সর্বশেষ দর ছিল ১৫৭ টাকা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৫৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১৬৩ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির মোট ৩৭ হাজার ৮৩৬টি শেয়ার মোট ৩৯৪ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ছিল ৫৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১২৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫৫ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৮২ পয়সা। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩২ পয়সা। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ২৫ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকা ৫১ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ৮৬ টাকা ৩৭ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৪৪ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৮৫ পয়সা (ঘাটতি)।
এদিকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ৯৯ পয়সা (লোকসান)। আর ৩০ জুন, ২০২৩ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা ৩৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ১৯ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ৫৫ পয়সা। আর ৩০ জুন, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২৪ টাকা ২৫ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ৫ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৩ কোটি ৫৬ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৭৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে এপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ। ওইমেক্স ইলেট্রোড লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ১২ শতাংশ। প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২০ শতাংশ। এছাড়া অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬৬ পয়সা।