Print Date & Time : 16 June 2025 Monday 8:33 pm

জেমিনি সি ফুডের রাইট শেয়ার ইস্যুতে বিএসইসির অসম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি জেমিনি সি ফুড পিএলসির রাইট শেয়ার ইস্যুতে অসম্মতি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১২৮ কোটি ২০ লাখ ৯৩ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কোম্পানিটি বিদ্যমান একটি শেয়ারের বিপরীতে দুটি রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চেয়েছিল। এজন্য কোম্পানিটি ৫০ টাকা প্রিমিয়ামসহ রাইট শেয়ারের ইস্যু মূল্য নির্ধারণ করেছিল ৬০ টাকা। রাইট ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও মুনাফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪ টাকা ৬৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ২ টাকা ৩৬ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩- মার্চ, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৯৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮ টাকা ৭৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে ইপিএস কমেছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৫ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৫ টাকা ৬৪ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ১ টাকা ৬১ পয়সা ছিল।

২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতিত সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০  শতাংশ নগদ এবং সব শেয়ারহোল্ডারদের ৭৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ৪৭ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৩ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২০ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ ও ৩০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৪৯ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৫ টাকা ৭৯ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৬ লাখ ৮৪ হাজার ১১১ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ০১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ, এবং ৫৭ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার সাধারন বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ বা ৩ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৩০ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২২৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৩৩ টাকায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৫৭ হাজার ৯১৪টি শেয়ার মোট ১ হাজার ১৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ২০৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।