Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 11:30 pm

জেমিনি সি ফুডের ৭৫% বোনাস লভ্যাংশে বিএসইসির সম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সুপারিশকৃত বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আইসিবির পর্ষদ উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০  শতাংশ নগদ এবং সব শেয়ারহোল্ডারদের ১০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু বোনাস লভ্যাংশ চূড়ান্ত করার আগে বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য কোম্পানিটি বিএসইসির কাছে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে ৭৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার অনুমোদন পেল। অনুমোদিত বোনাস শেয়ারের জন্য আগামী ২৬ ডিসেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ৪৭ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৩ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২০ পয়সা।

উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া বোনাস শেয়ার ইস্যু করা যায় না। বিএসইসি পর্যালোচনা করে যে কোম্পানিকে মনে হবে বোনাস দেয়ার জন্য উপযুক্ত, সেই কোম্পানিরই কেবল বোনাস অনুমোদন দেয়া হবে।

এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ ও ৩০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৪৯ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৫ টাকা ৭৯ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগের বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের মাত্র পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে তাদের ইপিএস হয়েছিল ৭২ পয়সা আর ৩০ জুন ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ৯৩ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ছয় কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬১ লাখ পাঁচ হাজার ২০৬ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ০১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১১ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ৫৮ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৭৬ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫৬৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৯০ টাকায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৩০টি শেয়ার মোট ৩ হাজার ৪৫৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩৩০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৯৬১ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।