নিজস্ব প্রতিবেদক: জোডিয়াক পাওয়ার চিটাগং লিমিটেডের ৫১ শতাংশ শেয়ার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। প্রাপ্ত তথ্যমতে, জোডিয়াক পাওয়ারের মোট ৫১ লাখ শেয়ার কিনছে কনফিডেন্স সিমেন্ট। যেখানে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। এটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কোলাগাওয়ে অবস্থিত ৫৪ দশমিক ৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন জোডিয়াক পাওয়ার চট্টগ্রাম এইচপিওভিত্তিক স্বাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিক্রি করা হবে। এবং ইতোমধ্যে কোম্পানিটি তার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে (ডিএসই) এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, গত ১২ আগস্ট ২০১৯ তারিখ থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কনফিডেন্স সিমেন্টের আরেকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স পাওয়ার রংপুর লিমিটেড। ওই কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিক্রি করা হবে। উল্লেখ্য, কনফিডেন্স পাওয়ার রংপুর লিমিটেডের ৯৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছে কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংস লিমিটেড। আর কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংস লিমিটেডের ৪১ শতাংশ ইকুইটি ক্যাপিটাল কনফিডেন্স সিমেন্টের। কনফিডেন্স পাওয়ার রংপুর লিমিটেডের বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ১১৩ মেগাওয়াট। কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংস লিমিটেডের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মোট চারটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া লিমিটেড, কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া ইউনিট-২ লিমিটেড ও কনফিডেন্স পাওয়ার রংপুর লিমিটেড এবং জোডিয়াক পাওয়ার চিটাগং লিমিটেড।
গত ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময়ে ইপিএস হয়েছে ছয় টাকা ৯৩ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরেও ১৫ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা সাত পয়সা ও এনএভি দাঁড়ায় ৮৪ টাকা ১০ পয়সা। ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৪৫ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৪৫ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৪ হাজার ৫৪৫টি শেয়ার মোট ৩৬২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১২৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২৪৩ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়।
১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৪ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৭৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ছয় কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২১ দশমিক চার এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৪ দশমিক ৪৬।॥