নিজস্ব প্রতিবেদক : জ্বালানি খাতের বিনিয়োগ নীতিমালা সুষম করতে আন্তর্জাতিক এনার্জি চার্টার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বহুজাতিক নীতিমালা তৈরি ও সমন্বয় করতেও এ সংস্থার সহায়ক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
গতকাল তুর্কেমেনিস্তানের রাজধানী আশাগাবাদে আন্তর্জাতিক এনার্জি চার্টারের ২৮তম সভার মিনিস্টারিয়াল সেশনে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, জলবিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল নেটওয়ার্ক কার্যকর করতে বাংলাদেশ কাজ করছে। পাইপলাইন প্রকল্প বা গ্রিডে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আঞ্চলিক বন্ধন মজবুত করতে এনার্জি চার্টার অতুলনীয় অবদান রাখতে পারে। ঝুঁকিবিহীন সুষম জ্বালানি সরবরাহে এ সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনা তৈরি করা সম্ভব।
এ সময় বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের উন্নতিকল্পে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহযোগিতা কমনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তহবিল গঠন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও রেগুলেটারি ক্লাইমেট সৃজন করে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে এনার্জি চার্টার সবার জন্য একটি প্ল্যাটফরম তৈরি করে দিতে পারে।
পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত ২৮তম সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রধান ও তাদের প্রতিনিধি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে অন্যান্যের মঝে ২৮তম সম্মেলনের সভাপতি মাকসাত এম বাবায়েভ ও মহাসচিব ড. অরবান রুসনাক বক্তব্য রাখেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আন্তর্জাতিক এনার্জি চার্টারের মহাসচিব ড. আরবান রুসনাকের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় সভায় মিলিত হন। সভায় বাংলাদেশ জ্বালানি নিরাপত্তা, এলএনজি টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর, কোল টার্মিনাল, পাইপলাইন প্রকল্প, রিফাইনারি, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা কামনা করেন।