জ্বালানি তেলের দাম আরও বেড়েছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে গতকাল বুধবার জ্বালানি তেলের দাম আরও বেড়েছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরব ও রাশিয়া তেল উৎপাদন হ্রাস করে যাবে, এমন খবর আসার পর তেলের দাম বেড়েছে। খবর: রয়টার্স।

গত মঙ্গলবারও তেলের দাম এক শতাংশ বেড়েছিল। এরপর গতকাল সকালে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১৪ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেল দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ১৮ ডলারে। এছাড়া ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ১২ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ দশমিক ৮১ ডলার প্রতি ব্যারেল।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রাইস্টাড এনার্জির জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট হোর্হে লিওন বলেন, তেলের বাজারে সরবরাহ কমছে, পরিণামে একটি বিষয়ই ঘটতে পারে, আর সেটা হলো বিশ্বব্যাপী তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া। সৌদি আরব ও রাশিয়ার তেল উৎপাদন হ্রাসের কী প্রভাব পশ্চিমের দেশগুলোতে পড়বে, তা বলা কঠিন হলেও একটি বিষয় হয়তো ঘটতে পারে। সেটা হলো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আবার নীতি সুদহার বৃদ্ধি করবে।

রাইস্টাডের হিসাবমতে, এই দুই দেশের তেল উৎপাদন কমানোর কারণে পরের প্রান্তিক থেকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাবে। সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকবে দৈনিক ২৭ লাখ ব্যারেল।

সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটি যে নিজে থেকে দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছিল, তা চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত চালিয়ে যেতে চায়।

এদিকে রাশিয়া যে দৈনিক তিন লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল, তাও ডিসেম্বর পর্যন্ত চালিয়ে নিতে চায় তারা। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন কমানোর যে ঘোষণা দিয়েছিল, রাশিয়া ও সৌদি আরব তার ওপর নিজেরা আরও তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দেয়। ওপেকের সিদ্ধান্তের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত। তবে সৌদি আরব ও রাশিয়া প্রতি মাসে বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তেল উৎপাদন কমানো বা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সময় যুক্তরাষ্ট্রের তেল পরিশোধনাগার রক্ষণাবেক্ষণের সময়।  এ সময় তাদের অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমে যায়। সে কারণে তেলের দাম খুব বেশি নাও বাড়তে পারে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০