প্রতিনিধি,জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে পৃথক অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কিডনী বেচাকেনা চক্রের ৩ দালাল সদস্য, জাল ডকুমেন্টস তৈরী চক্রের ৩ প্রতারক ও মাঠের মধ্যে স্থাপিত গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পাঁচবিবি থানা পুলিশ। বৃহষ্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মদ ভূঁঞা এসব তথ্য জানান। গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে প্রায় ১৪ ঘন্টাব্যাপী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রমান ও আলামত সহ ওই অপরাধীদের গ্রেফতার করেছে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান।
গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৩ জন কিডনী বেচাকেনা চক্রের দালালরা হলেন, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার সরাইল গ্রামের ফুল মিয়া (৪২), একই উপজেলার লক্ষিচাপর গ্রামের জুয়েল রানা (২৮) ও ছত্রগ্রামের ফিরোজ হোসেন (৩২)। বুধবার দিবাগত রাতে এক ঋনগ্রস্থ্য হত দরিদ্র দম্পত্তিকে কিডনী বিক্রির উদ্দেশ্যে ফুসলিয়ে চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে কালাই উপজেলার পুনট বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের জাল ও ভূয়া ডকুমেন্টস ও সীল তৈরী করার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত অপর ৩ জন হলেন, জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আইনজীবির সহকারী (মহুরী) আজিজার রহমান (৫০), নওগাঁর সদর উপজেলার চক পিয়ার মধ্য দূর্গাপুর গ্রামের আবু নাছের মোঃ মাহফুজুল ইসলাম ওরফে মুরাদ ওরফে আলম বাবু ওরফে নসু বাবু (৪৫) এবং জয়পুরহাট জেলা শহরের ধানমুন্ডি এলাকার প্রেস ব্যবসায়ী ও সীল তৈরী কারক নাজমুল (হক)। চক্রটি জয়পুরহাট সোনালী ব্যাংকের ভুয়া চালান, সীল, ১৪ লাখ টাকার জাল ডকুমেন্ট তৈরী করে আইনজীবির মাধ্যমে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে আদালত থেকে জামিন করায়। এরপর থেকে আসামীরা পলাতক থাকে। বুধবার দিবাগত রাতে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
একই রাতে পাঁচবিবি থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোররা হলেন, পাঁচবিবি উপজেলার নিকরদিঘি গ্রামের আল আমিন (৩০), লকনাহার গ্রামের আকাশ (২৪), সাব্বির হোসেন (৩২) ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুঁইয়াগাড়ি গ্রামের মিল্টন মিয়া (৩২)। তাদেরকে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের চুরি করা ৩টি ট্রান্সফরমার সহ নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।