নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সুসম্পর্ক’ থাকলেও তিস্তার পানি বণ্টনসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের কোনো আশা দেখছেন না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এজন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপি আশাবাদী নয়। বিএনপি বলছে, ভারতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হলেও বাংলাদেশের কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি।
গতকাল সোমবার স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তিন দিনের সফরে গতকাল সোমবার রাতে ঢাকায় আসেন। এ সফর নিয়ে বিএনপির প্রত্যাশা সম্পর্কে মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, তারা খুব বেশি প্রত্যাশা করছেন না। গত ১০-১২ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো পর্যায়ে আছে বলা হচ্ছে। কিন্তু তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা হয়নি, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি, বাংলাদেশের বাণিজ্যে যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের কোনো সমস্যারই সমাধান হয়নি। যেটা হয়েছে ভারতের সমস্যাগুলোর সমাধান হয়েছে। সেজন্যই আমরা খুব একটা আশাবাদী হতে পারছি না।
চামড়া সংকটে বিএনপি জড়িত বলে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার দেশ চালাতে পারছে না, তারা ব্যর্থ হয়েছে। এটি অনির্বাচিত সরকার, অবৈধ। তাদের জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অর্বাচীনের মতো কথাবার্তা বলা ছাড়া তাদের তো কিছু করার নেই।’
১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেনÑপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছে। জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান কোনোমতেই কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরাই জড়িত ছিলেন, যারা পরবর্তীকালে সরকার গঠন করেছেন এবং পার্লামেন্টে গিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার রাজনীতি দূর করে দিয়ে প্রভুত্ব করতে চায়, তারা একক দল নিয়ে এই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়, যেটা সম্ভব হবে না। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।
জয়শঙ্করের সফরে খুব একটা আশাবাদী নয় বিএনপি
