Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 1:31 pm

ঝরেপড়া শিশুদের স্কুলে ফেরাতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিডকালে ঝরেপড়া শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে শিগগির সম্মিলিতভাবে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। গতকাল নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

আলোচনায় কভিডকালে বাল্যবিয়ের শিকার কন্যাশিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে নানা ধরনের সুপারিশমালা উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারের জন্য প্রণোদনা সুবিধা বাড়ানো, শিক্ষা খাতে সরকারের বাজেট ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা, সার্বক্ষণিক মনিটর, বিয়ের পরও ছাত্রীর জন্য উপবৃত্তি চালু রাখা, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা স্তর নির্ধারণ করা, সোশ্যাল সেফটি নেট প্রোগ্রামে ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সর্বোপরি তথ্য-উপাত্তগত গ্যাপ নিরসন করা দরকার।

অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য স্বাগত বক্তব্যে বলেন, স্কুলের পরিচালনা পর্ষদকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং সেইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি সব সেক্টরের মধ্যে একটা সমন্বয় ঘটাতে হবে।

বিশেষ বক্তা হিসেবে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশিদা কে চৌধুরী বলেন, চলতি বছর জানুয়ারি-মার্চে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে এবং সরকার জানে কতজন শিশু ভর্তি হয়েছে। কিন্তু সেই তথ্য সরকার আমাদের জানায়নি। এছাড়া কতজন ছাত্রছাত্রী অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করেছে ও জমা দিয়েছে, সে-সম্পর্কিত কোনো তথ্যও আমরা পাইনি। এ সমস্যা সমাধানে সঠিক তথ্য-উপাত্ত সবচেয়ে প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে কভিডকালে বাল্যবিয়ের শিকার নীলফামারীর মেয়ে আদুরী ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিত কিশোর তাইজুল ইসলাম তাদের জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানায়।

ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। ওয়েবিনারে সরকার গৃহীত বিভিন্ন নীতি ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে এবং মাঠপর্যায় থেকে সরাসরি কর্ম-অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাজমা শেখ, মাউশি পরিচালক মো. বেলাল হোসাইন, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির সাবেক পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. নান্নু মোল্লা প্রমুখ।