ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের সবজিতে অস্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর দেশের বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে পেঁয়াজের দাম কমলেও স্বস্তি

দিচ্ছে না সবজি। শিম, টমেটো, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগমে বাজার ভরপুর থাকলেও বেশিরভাগ সবজির দাম এখনও বেশি। এমনকি সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে দাম বাড়ারও ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, রামপুরা, হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

গত বছরের শেষের দিকে ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। রেকর্ড ২৫০ টাকায় পৌঁছে যায় পেঁয়াজের কেজি। তবে নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসার পর দাম কিছুটা কমে। নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার মধ্যে চলে আসে।

কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই নতুন দেশি পেঁয়াজ ১৮০ টাকায় ওঠে যায়। গত সপ্তাহেও বাজারভেদে নতুন দেশি পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। এ পরিস্থিতিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবর আসে। এতে দেশের বাজারে কমতে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা কমে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা।

পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নোয়াব আলী বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হওয়ায় দাম অস্বাভাবিক বাড়ে। এখন ভারত পেঁয়াজ দেওয়ার কথা বলছে, এ কারণে দামও কমে গেছে। সামনে দাম আরও কমবে।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, ‘গত সপ্তাহে দুই বস্তা পেঁয়াজ কিনেছিলাম ১৩০ টাকা কেজিদরে। এখন সেই পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। কেজিতে ৩০ টাকা লোকসান। হঠাৎ করেই ভারত পেঁয়াজের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এমন দাম কমেছে।’

তবে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখনও পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। রামপুরার বাসিন্দা মামুন বলেন, এখন দেশি পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। এ সময় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা হওয়া কিছুতেই স্বাভাবিক নয়। পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকার নিচে থাকা উচিত।

এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শসার দাম দ্বিগুণ বেড়ে এখন ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ৩০-৫০ টাকা, করলা ও পাকা টমেটো ৪০-৬০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন গোল আলু ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শালগম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। এছাড়া বেগুন, শিম, গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিদরে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। মিষ্টি কুমড়া (ছোট) ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

গত সপ্তাহের তুলনায় চালের মূল্য বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা; যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি নাজির বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। গত সপ্তাহে এই চালের মূল্য ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর ভালোমানের নাজির চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এই চাল গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি মানের চালের মূল্য এখন ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। গত সপ্তাহে এই চাল বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

মূল্য বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেলের। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৪ থেকে ৯৬ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই সয়াবিন তেল ৯১ থেকে ৯৩ টাকা লিটার বিক্রি হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০