প্রতিনিধি, ঝালকাঠি:ঝালকাঠিতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে পুলিশের ওপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ঝালকাঠি সদর থানায় হওয়া মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে বিএনপির ৩৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫০ জনকে।
ঘটনার পর আটক ১৬ নেতা-কর্মীকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলাটি করেছেন সদর থানার এসআই দেবাশীষ রায়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেনÑজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. আনিচুর রহমান (৪৪), বিএনপির কর্মী শামিম মৃধা (৩০), মো. জহিরুল ইসলাম (৩৭), আবুল হাসান (২৭), আনোয়ার হোসেন (৪২), মো. সজীব হোসেন (৩০), মো. হাফিজুর রহমান (২৬), মো. ফরিদ হাওলাদার (২৯), সিদ্দিকুর রহমান (২৮), মো. তৌহিদ হোসেন (৩০), মো. রুস্তুম শরীফ (৫৫), মো. হিমেল হাওলাদার (২১), শাহজালাল মিঠু, আবদুল কুদ্দুস (৫০), হাসান (২৮) ও মো. মনির হোসেন (৩৭)। তারা সবাই বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ও অঙ্গসংগঠনের কর্মী।
লাঠিপেটা করে বিএনপির পদযাত্রা ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। শনিবার সকালে ঝালকাঠি শহরের সাধনার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এজাহারে নাম থাকা বাকি আসামিদের মধ্যে আছেনÑবিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ঝালকাঠি শহর বিএনপির সভাপতি নাছিমুল হাসান, ঝালকাঠি সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এজাজ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক সেলিম গাজী, কেন্দ্রীয় যুবদলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহিম, জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ হোসেন প্রমুখ।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের গতকাল রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঝালকাঠিতে গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শহরের সাধনার মোড় ও বিএনপির দলীয় কার্যালয় আমতলার মোড় এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। এ সময় পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করলে শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।
মামলার বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর কোনো হামলা করেননি। উল্টো পুলিশ, যুবলীগ, ছাত্রলীগÑসবাই মিলে বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় হামলা চালায়। হামলায় বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী মারাত্মক জখম হয়েছেন। হামলা ও মামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তবে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিএস রেজাউল করিমের দাবি, তাদের নেতা-কর্মীরা বিএনপির পদযাত্রায় কোনো হামলা করেননি। তাদের নেতা-কর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে শান্তি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।