Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:29 am

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা শুরুর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের বৃহস্পতিবার থেকেই ঘর নির্মাণ, অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ইতিমধ্যে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও পরিচালকরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের জন্য জেলা প্রশাসকদের সাথে সমন্বয় করে কাজ শুরু করেছেন।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদের ছুটির সময়ও সক্রিয় থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

তিনি জানান,লকডাউন পরিস্থিতে সরকারি ছুটির দিনেও সবসময় খোলা ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অনলাইন এবং অফলাইনে নিয়মিত ফাইল দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিচ্ছেন।

এছাড়াও মন্ত্রিসভা,একনেক, বাজেট,৬৪ জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত সভা, সর্বশেষ বুধবার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সুপার সাইক্লোন আম্পান অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপে বুধবার দুপুরের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হেনে রাতে প্রবেশ করে বাংলাদেশে।ঝড়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রবল বাতাসে বহু গাছপালা ভেঙে পড়ে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিমুহূর্তে তথ্য নিচ্ছেন। তার নির্দেশে ঈদের ছুটির মধ্যেও অফিসের সবাই সক্রিয় থাকবেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি একই সাথে পর্যবেক্ষণ এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সব জেলা উপজেলা কর্মকর্তাদের সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সকাল থেকেই সচিব ও পরিচালকরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও জেলা প্রশাসকদের সাথে সমন্বয় করে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের কাজ শুরু করেছেন। বিশেষ করে গত দুইদিন ধরেই উপকূলীয় এলাকার লোকজনদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য ব্যস্ত সময় পার করেছেন।ত্রাণ বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ লাইন মেরামত কৃষি ও গবাদি পশু, সড়ক, বাঁধ ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের কাজও চলছে বলে জানানো হয়েছে।