নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দেয়। প্রায় সপ্তাহ তিনেক পানিবন্দি হয়ে পড়ে উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলসহ উত্তরাঞ্চল। এই বন্যায় প্রাণ হারায় শতাধিক মানুষ। উজানের পানি সরে গেলেও ফের বন্যা দেখা দিতে পারে। তবে এটি খুবই স্বল্পস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দেশে এ বছর আর দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশঙ্কা নেই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বন্যা শুরু হয় বর্ষাকাল আসার এক মাস পর, জুলাইয়ে। ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বন্যায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট, বগুড়া, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বেশিরভাগ এলাকা ডুবে যায়। স্থানভেদে প্রায় তিন সপ্তাহ স্থায়ী ছিল এই বন্যা। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় দুই দফায় নদনদীর পানি বেড়ে যায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই বন্যায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে জামালপুর, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা ও টাঙ্গাইল জেলায়। এছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সুনামগঞ্জ জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রাণহানিসহ ফসল ও বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির পর জুলাইয়ের শেষ দিকে বন্যার পানি কমতে থাকে। মধ্যাঞ্চলে পানি বাড়লেও সেটি বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটায়নি।
তবে বন্যার সময় এখনও পার হয়ে যায়নি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বাংলাদেশে তিনটি প্রধান নদী অববাহিকা রয়েছে। এগুলো হলো মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গা অববাহিকা। এই তিন অববাহিকার ৯৩ শতাংশ এলাকা দেশের বাইরে। বাকি সাত ভাগ রয়েছে দেশের ভেতর।
ঝড়-বন্যার ঝুঁকিমুক্ত দেশ
