শেয়ার বিজ ডেস্ক: আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে গত রোববার রওনা দিয়ে নিখোঁজ হয় ‘টাইটান’ নামের একটি সাবমেরিন। যাত্রার ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মাথায় ছোট সাবমেরিনটির সঙ্গে ভূপৃষ্ঠের নিয়ন্ত্রণকক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। খবর: বিবিসি।
সাবমেরিনটি উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের কমান্ডারদের নেতৃত্বে পঞ্চম দিনের মতো অভিযান অব্যাহত। কানাডার নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের এয়ার ন্যাশনাল গার্ডের উদ্ধারকারী দল এ অভিযানে সহযোগিতা করছে। ফ্রান্সের একটি জরিপকারী জাহাজও এ উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিয়েছে।
কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের প্রধান শহর সেন্ট জনস থেকে প্রায় ৯০০ মাইল (১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার) পূর্বে এবং ৪০০ মাইল (৬৪৩ কিলোমিটার) দক্ষিণে সাগরে সাবমেরিনটি নিখোঁজ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাবমেরিনটিতে থাকা পাঁচ যাত্রীর পরিচয় জানতে পেরেছে বিবিসি। তারা হলেনÑহ্যামিশ হার্ডিং, শাহজাদা দাউদ, সুলেমান দাউদ, পল হেনরি নিরজিওলেট ও স্টকটন রাশ।
আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিনের খোঁজে অভিযান চালানোর সময় ওই এলাকায় পানির তলদেশে এক ধরনের শব্দ শোনা গেছে। গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার অনুসন্ধানের তৃতীয় দিনে কানাডীয় উড়োজাহাজ এসব শব্দ শনাক্ত করে। পরে তা যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডকে জানানো হয়। সাগরের তলদেশে রোবটের সাহায্যে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড এক টুইটার পোস্টে বলেছে, পানির তলদেশে শব্দ শনাক্ত হওয়ায় ইতোমধ্যে অনুসন্ধানকারী রোবটের অবস্থান পরিবর্তন করে শব্দের মূল উৎপত্তিস্থলের দিকে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ সাবমেরিনটিকে শনাক্ত করা যায়নি।
টাইটান ২১ ফুট দীর্ঘ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ওশানগেট এটি পরিচালনা করে। সাবমেরিনটিতে যে পরিমাণ অক্সিজেন মজুত থাকে, তা দিয়ে ৯৬ ঘণ্টা পানির নিচে টিকে থাকা যায়। সে অনুযায়ী, সাবমেরিনটি যদি এখন পর্যন্ত অক্ষত থাকে, তাহলে এর যাত্রীরা আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ পাবেন।