টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানতে চান হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-কমার্স কোম্পানি ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে টাকা পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়ে রুলসহ আদেশ দিয়েছে আদালত। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়। আগামী ৪ মাসের মধ্যে বিষয়গুলো প্রতিবেদন আকারে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে বিবাদীদের।

রিটকারী পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে যারা বিদেশে পাচার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কেন ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তা জানতে চেয়েছে আদালত। পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করে গ্রাহকদের কেন ফেরত দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

পণ্য না পেয়ে গ্রাহকদের ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার পাশাপাশি কত টাকা বিদেশ পাচার করা হয়েছে তা অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩ এপ্রিল রিট আবেদনটি করেন ই-অরেঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত তারেক আলমসহ ৫৪৭ গ্রাহক। ওই রিটে দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রিটকারীদের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম জানান, গত বছরের বিভিন্ন সময়ে ওই গ্রাহকরা ই-অরেঞ্জ থেকে বিভিন্ন পণ্যের জন্য অর্থ দিয়ে ভাউচার কেনেন। কিন্তু পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে মালিকপক্ষ ‘কোম্পানি গুটিয়ে পালিয়ে গেছে’। এ কারণে অর্থ ফেরত চেয়ে এসব গ্রাহক রিট আবেদনটি করেছেন। গত মঙ্গলবার আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিষয়টি আদেশের জন্য রেখেছিল হাইকোর্ট।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০