টাকা ফেরত দিলে ই-কমার্সে আস্থা ফিরবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের টাকা ফেরত দিয়ে ব্যবসায় ফিরলে আস্থায় ফিরতে পারবে বলে মনে করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এ বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে লুকিয়ে থাকবে, তারা মার্চের পরে আর পারবে না। এ তথ্যটা সবার মাধ্যমে জানাতে চাই।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দালাল প্লাস, বাংলাদেশ ডিল এবং আনন্দের বাজারের প্রতারিত গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, যারা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, তারা গ্রাহকের টাকা শোধ করে ব্যবসায় এলে আস্থার জায়গায় ফিরে আসবে। ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সামনে যে গ্রোথ আছে, যে বিজনেস প্যাটার্ন, সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আজকে দালাল প্লাসের ১০ গ্রাহককে ৯ লাখ সাত হাজার ৪৬৩ টাকা, বাংলাদেশ ডিলের ১০ গ্রাহককে পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯

 টাকা এবং আনন্দের বাজারের ১০ গ্রাহককে ছয় লাখ পাঁচ হাজার ৬৪৩ টাকা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া আমরা আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরতের কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছি। আগামী সপ্তাহে আবার বসে শ্রেষ্ঠ ডটকম, আলিফ ওয়ার্ল্ড ও ধামাকার টাকাগুলো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফেরত দিতে পারব। তাহলে সবমিলে ১১টি প্রতিষ্ঠান এ প্রক্রিয়ার মধ্যে আসবে।

তিনি বলেন, কিউকমের এখন পর্যন্ত ২৩ কোটি টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। ফস্টারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে আরও ৩৫ কোটি টাকা চলে যাবে। তাহলে কিউকমের ৬০ কোটি টাকার মধ্যে ৫৭ কোটি টাকার মতো পরিশোধ হয়ে যাবে, বাকি কিছু থাকতে পারে। তাদের ১০০ কোটি টাকার প্রোডাক্ট আছে, সেগুলোও প্রক্রিয়া করা যাবে।

কিউকমের মালিকের জামিন প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান বলেন, জামিনের বিষয়ে আমরাও বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছি, ই-ক্যাবকে বলেছিলাম কোর্টে যোগাযোগ করার জন্য। তারা সেখানে গেছেন, সেটার রেজাল্টও আপনারা জানেন। একটা মামলার জামিন হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি তিনি যদি লিগ্যাল প্রসিডিউরে আসতে পারলে কিউকমের আটকে থাকা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ফেরত দেয়া যাবে। এটি ফেরত দিতে পারলে বড় ধরনের রিলিফ হবে। এ কারণে আবারও বলব, যারা যেখানে সমস্যায় আছেন, লুকিয়ে আছেন, তারা যদি যোগাযোগ করে পজিটিভলি টাকাগুলো ফেরত দেয় তাহলে তাদের আমরা আপাতত ডিস্টার্ব করব না।

প্রসঙ্গত, আমাদের ইকমার্সের ২৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমপক্ষ ১১০টি মামলা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর টাকা বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে রয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ থেকে ১১টি প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তার মধ্যে আটটি প্রতিষ্ঠানের টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০