নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী অর্থবছরের (২০২০-২১) জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাবনা করা হয়েছে। প্রস্তাবনায় ব্যাংকে টাকা রাখার ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক বসানো হয়েছে। ব্যাংকে রাখা টাকার ওপর আনুপাতিক হারে এ শুল্ক কেটে রাখা হবে। এতে টাকা রাখার খরচ বৃদ্ধি পাবে। ব্যাংক হিসাবে ১০ লাখ টাকার ওপরে থাকলেই অতিরিক্ত ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হবে।
গতকাল জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী এ বাজেট পেশ করেন। সেখানে বলা হয়, ব্যাংক হিসাবে ১০ লাখ টাকার বেশি স্থিতি থাকলে তার ওপর আবগারি শুল্ক বাড়াবে। বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ব্যাংক হিসাবে ও বিমান টিকিটের ওপর আবগারি শুল্ক আদায় করা হয়ে থাকে। এই আইনের প্রয়োগ সহজবোধ্য ও যুযোপযোগী করার লক্ষ্যে কতিপয় ধারা সংযোজন ও সংশোধনের প্রস্তাব করছি।
প্রস্তাবিত বাজেটে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবের স্থিতির ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক বর্তমানে যা আছে তাই রাখা হয়েছে। তবে ১০ লাখ টাকার বেশি থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতি থাকা ব্যাংক হিসাবের আবগারি শুল্ক দুই হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এক কোটি টাকার বেশি থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর পাঁচ কোটি টাকার বেশি স্থিতির ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্যাংকে যে কোনো ধরনের হিসাব থাকলেই দুইভাবে কর কেটে নেওয়া হয়। এটি ব্যাংকের উদ্যোগেই করা হয়। এর মধ্যে একটি হলো আয়কর, আর অন্যটি হলো আবগারি শুল্ক। হিসাবে থাকা আমানত থেকে প্রাপ্ত মুনাফা বা সুদের ওপর কর কেটে নেওয়া হয়। আবার জমানো অর্থ নির্দিষ্ট সীমা অতিরিক্ত হলেই তাতে আবগারি শুল্ক কেটে রাখা হয়। এটি বছরে একবারই করা হয়।
কোনো ব্যাংক হিসাবে কোনো ব্যক্তির অর্থের স্থিতি বছরের কোনো সময়ে এক লাখ টাকা হলে কোনো আবগারি শুল্ক কাটা হয় না। কিন্তু এক লাখ টাকার বেশি কিন্তু পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক হিসেবে কেটে রাখা হয়। আর স্থিতির পরিমাণ পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা হলে ৫০০ টাকা আবগাড়ি শুল্ক কেটে রাখা হয়। এভাবে অর্থের স্থিতির পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে আবগারি শুল্ক কেটে নেয় সরকার। নতুন প্রস্তাবনায় ১০ লাখের পরের স্থিতির ক্ষেত্রে আবগাড়ি শুল্কের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।