নিজস্ব প্রতিবেদক:দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে গ্রেফতার হওয়া সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মারুফ ফেরদৌসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (পশ্চিম) তাকে বরখাস্ত করে।
গতকাল বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়। এর আগে ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুদক টাঙ্গাইল থেকে ঘুষের টাকাসহ তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। মো. আবদুল্লাহ আল মারুফ ফেরদৌস টাঙ্গাইল বিভাগীয় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসে কর্মরত ছিলেন।
ভ্যাট পশ্চিম কমিশনার ড. মইনুল খান শেয়ার বিজকে বলেন, এনবিআর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করছে। এরই অংশ হিসেবে এনবিআরের পরামর্শে বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি পাবেন। একই সঙ্গে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে ফৌজদারি ব্যবস্থার পাশাপাশি আইন অনুসারে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দুদক সূত্র জানায়, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফকে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করে দুদক। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল দুদকের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মারুফের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে নেওয়া ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভূঞাপুর উপজেলার মুক্তা ফুড প্রডাক্ট নামের একটি কারখানার মালিক গৌবিন্দ কিশোর পালের কাছে নতুন ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আবদুল্লাহ আল মারুফ টাকা দাবি করেন। পরে ঘুষের বিষয়টি আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন গৌবিন্দ কিশোর পাল। অভিযোগের ভিত্তিতে একটি টিম গঠন করা হয়। এ টিমের সদস্যরা গতকাল ওঁৎ পেতে থাকেন। পরে ঘুষ নেওয়ার সময় ১৫ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে মারুফকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে দুদকের আইনে মামলা করা হয়েছে। যদি এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
অভিযোগকারী গৌবিন্দ কিশোর পাল জানান, তার একটি কুটির শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে। তিনি ২০১৬ সালের অক্টোবরে ভ্যাট নিবন্ধন করেছেন। ২০১৬ সালে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকেই তিনি প্রতিনিয়ত সরকারকে ভ্যাট দিয়ে আসছেন। কয়েক দিন আগে ভ্যাট দিতে গেলে জানানো হয়, ১৩ ডিজিটের নতুন ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন চালু হয়েছে। এ জন্য নতুন ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আর তা করতে চাইলে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন আবদুল্লাহ আল মারুফ। একপর্যায়ে তা ১৫ হাজার টাকায় সমঝোতা হয়। বিষয়টি তিনি দুদক অফিসে জানান।