Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 3:44 pm

টাঙ্গাইলের ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র বেচবে ডরিন পাওয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে অবস্থিত ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের জমি ব্যতীত অন্য সব স্থায়ী সম্পদ বিক্রি করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে কোম্পানিটির বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) দীর্ঘদিন ধরে বিচারাধীন রয়েছে, একইসঙ্গে এর মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা অনিশ্চিত হওয়ায় এজন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটি (কোম্পানিটির তিনটি পাওয়ার প্ল্যান্টের একটি) বিক্রি করবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বিক্রির লক্ষ্যে রূপসী বাংলা গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে, যা কিনা ডরিন পাওয়ারের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন পেয়েছে। টাঙ্গাইলের ২২ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের জমি ব্যতীত অন্য সব স্থায়ী সম্পদ, যেমন ইঞ্জিন, আনুষঙ্গিক, সাবস্টেশন সরঞ্জাম, বিল্ডিং ও স্টিল স্ট্রাকচার ১০ কোটি পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ভবিষ্যতে উপযুক্ত ক্রেতা পেলে প্রতিযোগিতামূলক বাজারমূল্যে জমিও বিক্রি করবে ডরিন পাওয়ার।

জ্বালানি খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ডরিন পাওয়ারের রিজার্ভে রয়েছে ৭০২ কোটি ১২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৮ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯০১ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ৪৪ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ৩ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৩৪ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ৫০ টাকা ৪৭ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৪ টাকা ৯৭ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৪৪ পয়সা।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৪৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৭ টাকা ৯৮ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১৮ শতাংশ নগদ ও ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ৩১ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ১৫ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩২ টাকা ২২ পয়সা (লোকসান)।

এর আগের বছর অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য ১৩ শতাংশ নগদ এবং সব বিনিয়োগকারীর জন্য ১২ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ সর্বমোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে আট টাকা ৯ পয়সা।

৩০ জুন, ২০২১ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৪১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়নসহ)। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির এনওসিএফপিএস হয়েছে ছয় টাকা ৪৬ পয়সা। আর ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে তারা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ছয় টাকা ৮ পয়সা; আর ২০২০ সালের ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৬৮ পয়সা।