টাঙ্গাইলে যুবরাজ নাট্যোৎসব

শোবিজ ডেস্ক: আজ খালেদ খান যুবরাজের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালের এ দিনে বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী এ অভিনেতা, নাট্যনির্দেশক, গায়ক ও বাচিকশিল্পী সবাইকে ছেড়ে চলে যান। তাকে স্মরণ করতে তার এলাকা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তিনদিনের নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে স্থানীয় সংগঠন ‘হঠাৎ নাট্য সম্প্রদায়’।

উৎসবে চারটি নাট্যদল নাটক মঞ্চস্থ করবে, জানিয়েছেন যুবরাজ নাট্যোৎসব কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ খান ডিগু।

২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিটে  উৎসবের প্রারম্ভে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন, মওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন ও বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক।

উৎসব প্রসঙ্গে আনোয়ার পারভেজ খান ডিগু বলেন, ‘আমাদের নাট্যদলের পক্ষ থেকে ২ বছর পর পর এ এলাকায় নাট্য উৎসবের আয়োজন করা হয়। সে ধারাবাকিতায় এবারী বৃহৎ কলেবরে প্রথমবারের মতো খ্যাতিমান নাট্যজন প্রয়াত খালেদ খান যুবরাজকে নিয়ে ‘যুবরাজ নাট্যোৎসব’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরই মধ্যে উৎসবের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকা এক সময় সাংস্কৃতিক দিক থেকে খুব সমৃদ্ধ ছিল। গ্রামে নিয়মিত নাটক চর্চার পাশাপাশি যাত্রা প্রদর্শনীও হতো। সে সাংস্কৃতিক আবহ এখন গ্রামাঞ্চলে আর নেই। এ ধরনের উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে সে পুরোনো সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি করাই আমাদের এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য।

২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া উৎসবের প্রথমদিন ঢাকার প্রাচ্যনাটের পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হবে নাটক ‘কিনু কাহারের থেটার’। মনোজ মিত্রের রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন।

২৪ ডিসেম্বর হঠাৎ নাট্য সম্প্রদায় ‘সঙযাত্রা’ মঞ্চস্থ করবে। আকতারুল ইসলাম জিন্নাহর রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন লুৎফর রহমান সোহেল।

একইদিন মঞ্চস্থ হবে ঢাকার অবয়ব নাট্যদলের প্রযোজনা ‘ফেরিওয়ালা’। আসাদুজ্জামান দুলালের রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন শহিদুল ইসলাম শ্যানন।

উৎসবের সমাপনী দিন ২৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে ঢাকার থিয়েটার আর্ট ইউনিটের নাটক ‘আমেনা সুন্দরী’। এসএম সোলায়মানের রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন রোকেয়া রফিক বেবী।

উৎসবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে নাটকগুলো মঞ্চস্থ হবে।