নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি কয়েকশ বছরের পুরোনো টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবি করে জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তারপর গত বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
নিজেদের দাবি করে স্বীকৃতি দিলেও টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ অবস্থায় দাবি নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনে ওয়ার্ল্ড ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অরগানাইজেশনে যাওয়ার কথা বলছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
জানুয়ারির শুরুতে টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেড মার্কস বিভাগ স্বীকৃতি দেয়। তারপর ১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের জিআই পণ্য উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হলে দুদিনের মধ্যে পোস্ট সরিয়ে নেয় ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
আলোচনায় আসে বাংলাদেশে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রসঙ্গও। টাঙ্গাইলে এ নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করা হয়। দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িকে ভারতের নিজস্ব পণ্য দাবি করে ভৌগোলিক নিদর্শক পণ্যের স্বত্ব নেয়ায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সেইসঙ্গে দ্রুত ভারতের জিআই স্বীকৃতি বাতিল করে বাংলাদেশের জিআই পণ্যের তালিকায় টাঙ্গাইল শাড়িকে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি ওঠে।