Print Date & Time : 16 June 2025 Monday 8:55 pm

টাটা সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী হচ্ছেন নোয়েল টাটার তিন সন্তান

শেয়ার বিজ ডেস্ক: রতন টাটার মৃত্যুর পর এখন প্রশ্ন উঠেছে—টাটা সামাজ্যের উত্তরাধিকারী কে হবেন? ভারতের অন্যতম ধনী রতন এন টাটা গত বুধবার ৮৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ২০ বছর দায়িত্ব পালন করে ২০১২ সালে অবসরে যান। তবে ভারতের একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি সারা বিশ্বে সুপরিচিত ছিলেন।

রতন টাটা বিয়ে করেননি। তার কোনো সন্তান নেই। বিয়ে করেননি তার আপন ভাই জিমি টাটাও। তারা দুজন নাভাল টাটা ও সুনি কমিসারিয়াতের সন্তান। রতন টাটার বয়স যখন মাত্র ১০ বছর, তখন তার মা–বাবার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বলা হয়ে থাকে, মা–বাবার অসুখী জীবন দেখেই দুই ভাইয়ের কেউই আর বিয়ে পথে হাঁটেননি। টাটা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত পারসি ধর্মের অনুসারী জামশেদজি টাটা। ১৮৭০–এর দশকে একটি কাপড়ের কারখানা নির্মাণ করে তিনি শিল্পপতি হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। তিনি ও তার স্ত্রী হীরাবাই ডাবুর এক মেয়ে ও দুই ছেলে ছিল। বড় মেয়ে ছিলেন ধুনবাই টাটা। বড় ছেলে দোবারজি টাটা ছিলেন টাটা গ্রুপের দ্বিতীয় চেয়ারম্যান। শিল্পপতি হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। তালর কোনো সন্তান ছিল না।
জামশেদজি টাটার দ্বিতীয় ছেলে রতনজি টাটা। লোকহিতৈষী হিসেবে খ্যাতি পাওয়া রতনজির স্ত্রী ছিলেন নাভাজবাই টাটা। তাদেরও কোনো সন্তান ছিল না। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি সম্প্রসারিত টাটা পরিবারের শিশু নাভালকে দত্তক নেন। এই নাভাল পরে টাটা গ্রুপের বেশ কয়েকটি কোম্পানির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সুনি কমিসারিয়াতের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নাভাল টাটা আবার বিয়ে করেছিলেন। তার চেয়ে ২৬ বছরের ছোট ফরাসিভাষী সুইস নারী সিমোন ডুনেয়ারকে ১৯৫৫ সালে বিয়ে করে তিনি। সুপরিচিত সাজসজ্জার উপকরণ প্রস্তুতকারী কোম্পানি লাকমে পরিচালনা করতেন সিমোন। তাদের একমাত্র ছেলে নোয়েল টাটার জন্ম ১৯৫৭ সালে। নোয়েল টাটার তিন সন্তান। মায়া, নেভিল ও লিয়া। টাটার যে পরম্পরা, এই তিনজন এর উত্তরাধিকার হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

টাটা গ্রুপের সম্পদের পরিমাণ ৩ হাজার ৮০০ কোটি রুপি। পৃথিবীর ছয়টি মহাদেশের ১০০টি দেশে এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কার্যক্রম রয়েছে। জ্বালানি, গাড়ি, প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে তাদের ব্যবসা রয়েছে। বিশ্বজুড়ে টাটা কোম্পানিগুলোয় কাজ করেন আট লাখ কর্মী।
বিশাল এই ব্যবসায়ী সাম্রাজ্য পরিচালনা করার দায়িত্ব পড়বে এখন নতুন নেতৃত্বের হাতে।