Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 9:28 am

টানা তিন কার্যদিবসে সূচক কমল ৫৪ পয়েন্ট

রুবাইয়াত রিক্তা:টানা তিন কার্যদিবস পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক কমেছে প্রায় ৫৪ পয়েন্ট। এ তিন দিনে বাজার মূলধন কমেছে চার হাজার ১২৮ কোটি টাকা। লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা থেকে ৩৭৬ কোটি টাকায় নেমে আসে। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ১৩০ কোটি টাকা। আগের দুই দিনের ধারাবাহিকতায় গতকালও অধিকাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। ডিএসইর মূল লেনদেন প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র খাতে সীমাবদ্ধ ছিল। এর মধ্যে ওষুধ খাতে লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি দরও বেড়েছে।

ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ হয় প্রকৌশল খাতে। এ খাতে ৫১ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। বিবিএস কেব্লসের ছয় কোটি ৬৮ লাখ টাকা লেনদেন হলেও দর কমেছে এক টাকা ৪০ পয়সা। কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ছয় কোটি ৩৩ লাখ টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে এক টাকা ৬০ পয়সা। চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১২ পয়সা। আর ছয় মাস শেষে ইপিএস কমেছে ২৭ পয়সা। তা সত্তে¡ও শেয়ারটির দর ও লেনদেন বাড়ছে। এছাড়া আট দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধিতে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে বিডি অটোকার। আগের দিনের তুলনায় দুই শতাংশ বেড়ে ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৫ শতাংশ। এ খাতে ৬২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ইন্দোবাংলা ফার্মার ৯ কোটি ১১ লাখ টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ৪০ পয়সা। সিলকো ফার্মার সাত কোটি ৮৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে দুই টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। অ্যাডভেন্ট ফার্মার ছয় কোটি ৩৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ। এ খাতে ৫০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। এ খাতের এমএল ডায়িংয়ের ছয় কোটি ৫৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা ৭০ পয়সা। এ খাতের চার কোম্পানি দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে। সাড়ে ৯ শতাংশ বেড়ে মতিন স্পিনিং, ছয় দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে সমতা লেদার, ছয় দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে শেফার্ড, পাঁচ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে। বিমা খাতে ৪৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। দর বেড়েছে ৭০ পয়সা। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে শেয়ারটির দর ধীরে ধীরে বাড়ছে। অধিকাংশ দিনেই লেনদেন শীর্ষে থাকে লাফার্জহোলসিম। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফায় বিশাল উল্লম্ফন হওয়াতে শেয়ারটির চাহিদা বাড়ছে। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে তিন পয়সা লোকসানে ছিল। ৯ মাস শেষে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ৫৯ পয়সা। খাদ্য খাতে ৭০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের এডিএন টেলিকমের ১৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে দুই টাকা ৬০ পয়সা। টেলিযোগাযোগ, ভ্রমণ ও অবকাশ এবং পাট খাত শতভাগ নেতিবাচক ছিল।