শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি মার্চে প্রতিদিন ৭০ হাজার ব্যারেল তেল রফতানি কমেছে ইরাকের দক্ষিণাঞ্চল থেকে। জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশটির এ অঞ্চলের রফতানি টানা তৃতীয় মাস কমল। খবর রয়টার্স।
চলতি মাসে প্রথম ২১ দিনে দক্ষিণাঞ্চলীয় ইরাকে দৈনিক গড় রফতানি হয়েছে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল তেল। আগের মাসের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল। অন্যদিকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে মার্চে গড়ে প্রতিদিন দুই লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল তেল রফতানি হয়েছে। আগের মাসে রফতানি হয়েছিল তিন লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল। ২০১৭ সালের গড়ে প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল রফতানি হয়েছিল এ অঞ্চলে, যার তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম।
২০১৪ সালে কুর্দিদের দখলে নেওয়া কিরকুক পুনর্দখল করতে সরকারি বাহিনীর অভিযানে সম্প্রতি ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় তেলক্ষেত্রগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ ঘাটতি পূরণ করতে দক্ষিণাঞ্চলী তেলক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন দুই লাখ ব্যারেল তেল বেশি উৎপাদন শুরু করেছে দেশটি। কিন্তু গত তিন মাস ধরে রফতানি কমছেই।
যতদিন উত্তরাঞ্চলের উত্তোলন পরিস্থিতি আগের অবস্থানে ফিরে না আসবে ততদিন দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এতে রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের চুক্তি লঙ্ঘন হবে না।
২০১৪ সালের দরপতনের পর এবছরের প্রথম দিকে তেলের দর ৭০ ডলার ছাড়ালেও এ অঞ্চলে সরবরাহ তেমন বাড়েনি। ওপেকের উত্তোলন হ্রাস চুক্তির সঙ্গে অঙ্গিকারের কারণেই মূলত সরবরাহ বাড়ায়নি দেশটির এ অঞ্চল।
এদিকে উত্তরাঞ্চলীয় তেলক্ষেত্রগুলো থেকে তেল রফতানি করতে তুরস্কের চেহান বন্দর পর্যন্ত পাইপলাইন নতুন স্থাপন করার পরিকল্পনা করছে ইরাক। এ লক্ষ্যে কাজ করছে দেশটি। কিরকুক থেকে চেহান পর্যন্ত এ পাইপলাইনটি মূলত আশিংক ক্ষতিগ্রস্ত পুরোনো লাইনেই প্রতিস্থাপন হবে।