রুবাইয়াত রিক্তা: বাজেট যত ঘনিয়ে আসছে পুঁজিবাজার তত বেশি মন্দার কবলে পড়েছে। এপ্রিলের ১৯ তারিখ থেকে গতকালের বাজারচিত্র পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, ২০ কার্যদিবসের মধ্যে ছয় দিন সূচক বেড়েছে, আর ১৪ দিনই পতনে ছিল। পতন শেষ পর্যন্ত কোথায় যাবে- এ নিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। প্রতিদিন কমছে শেয়ারের দর। মন্দা বাজারে শেয়ার বিক্রি করে বের হলেও ২০-৩০ শতাংশ পুঁজি হারাতে হবে। তাই বিনিয়োগকারীরা দিশাহারা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। অনেকেই দুশ্চিন্তায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কেউ কেউ সন্দেহ করছেন গত আট মাসে বাজারকে কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়েছিল কি না? এখন বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখা যাচ্ছে না।
বর্তমান বাজার কোনো নিয়ম মানছে না। গড়ে সব কোম্পানির দর কমছে। তবে ছোট মূলধনের কিছু কোম্পানির হঠাৎ দরবৃদ্ধি দেখে মনে হচ্ছে, এসব কোম্পানি নিয়ে একটি মহল কারসাজি করছে কি না? অবশ্য গতকাল চারটি কোম্পানির অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বর্তমান বাজারের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে দেশে যেন বড় ধরনের কোনো অর্থনৈতিক সংকট চলছে। গতকাল বাজারে সূচক পড়েছে ৩০ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৬৩৫ কোটি টাকার। ১৯২ কোম্পানির দর কমেছে, বেড়েছে ৯০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪১ কোম্পানির দর।
গতকালও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল প্রকৌশল খাতে। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ২০ শতাংশ। লেনদেন বেড়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। এ খাতের ইফাদ অটোসের শেয়ার ৭১ কোটি ৭২ লাখ টাকায় লেনদেন হয়, যা গতকালের সর্বোচ্চ লেনদেন ছিল। এ খাতের রংপুর ফাউন্ড্রির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। এরপরে বস্ত্র খাতের অবদান ছিল ১৬ শতাংশ। ব্যাংক খাত ১১ শতাংশ অবদান রাখে। গতকাল ব্যাংক, বিমা, বস্ত্র, জ্বালানিসহ সব খাতের শেয়ারের দর কমেছে। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। আর্থিক খাতে গতকাল চরম মন্দাবস্থা বিরাজ করে। এ খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টির দরপতন হয়। দুটির দর বেড়েছে এবং দুটি অপরিবর্তিত ছিল।