নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে দেশে। করোনায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু পৌঁছে গেছে ৯ হাজারের কাছাকাছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচ হাজার ৪২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৫ জনের। এর আগের দিনও ৪৫ জন মারা গিয়েছিলেন।
নতুন শনাক্ত রোগী নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় লাখ পাঁচ হাজার ৯৩৭ জনে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৪৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আট হাজার ৯৯৪ জনের মৃত্যু হলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুই হাজার ১৬২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ১৮০ জন হয়েছে।
গত দুদিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজারের উপরে থাকার পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হারও থাকছে ১৮ শতাংশের বেশি, যা গত ২৪ আগস্টের পর সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ২২৪টি ল্যাবে ২৬ হাজার ৬২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৫টি নমুনা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ লাখ ১৭ হাজার ১১৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬৩২টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ আর নারী ১৭ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, আটজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরে মধ্যে, সাতজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৩৭ জন ঢাকা বিভাগের, তিনজন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন রাজশাহী বিভাগের, দুজন খুলনা বিভাগের এবং একজন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া আট হাজার ৯৯৪ জনের মধ্যে ছয় হাজার ৭৭৪ জনই পুরুষ এবং দুই হাজার ২২০ জন নারী। তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৩০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া দুই হাজার ২২৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, এক হাজার ১১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪৪৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭৭ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৮ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
মৃতদের মধ্যে পাঁচ হাজার ১১৮ জন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ৬৩১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫০১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৭৯ জন খুলনা বিভাগের, ২৭৩ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১৮ জন সিলেট বিভাগের, ৩৭৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ২০১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।