ক্রীড়া প্রতিবেদক : একবারে কাছে গিয়েও গত মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শিরোপা ছুঁতে পারেনি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার এ টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দারুণ কৌশলে এগোচ্ছে নাঈম ইসলামের দল। এরই মধ্যে সাত ম্যাচের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের দলটি ছয়টিতে হেসে মাঠ ছাড়ে। তার মধ্যে আবার রয়েছে টানা চারটিতে জয়। সব মিলিয়ে দারুণ এক সুখী পরিবার সাবেক ডিপিএল চ্যাম্পিয়নরা। তবে তাতে একটুর জন্য ভেসে যাচ্ছেন না মেহেদী মারুফ-মোহাম্মদ শহিদরা। তাদের চোখ টানা পঞ্চম জয়ে। সে লক্ষ্যে আজ ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় বিকেএসপির মুখোমুখি হবে দলটি।
ব্যাট-বলে দারুণ ছন্দে থাকা দারুণ ফুরফুরে রূপগঞ্জ শিবির। সেটাকে আজ আরও বাড়িয়ে নিতে চাইছেন নাঈম ইসলামরা। এজন্য গত ম্যাচগুলোর মতো ওপেনিংয়ে দারুণ শুরু এনে দিতে চান মেহেদি মারুফ, মোহাম্মদ নাঈম জুটি। এরপর শাহরিয়ার নাফীস, মুমিনুল হক, আকবার-উর-রহমানরা মাঝে বড় স্কোরের দিকে দলকে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। শেষ দিকে ঝড় তোলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন দলটির অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ও ভারতীয় রিক্রুট ঋষি ধাওয়ান। বল হাতেও কোনো অংশে কম যেতে চাইবে না সাবেক ডিপিএল চ্যাম্পিয়নরা। লক্ষ্য পূরণে এরই মধ্যে মোহম্মদ শহিদ, নাবিল সামাদ, মুক্তার আলিরা নিয়েছেন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি।
রূপগঞ্জ শিবিরে নাঈম ইসলাম, ঋষি ধাওয়ান, মুক্তার আলি, আকবার-উর-রহমানদের মতো অলরাউন্ডারের ছড়াছড়ি; যা এবারের মৌসুমে দলটিকে দিচ্ছে বাড়তি সুবিধা। এদিকে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে মুমিনুল হক, মেহেদী মারুফরাও হাত ঘোরাতে প্রস্তুত। সব মিলিয়ে তাই এক সুখী পরিবারের প্রতিচ্ছবিই ফুটে উঠেছে সাবেক ডিপিএল চ্যাম্পিয়নদের শিবির।
এবারের ডিপিএলের শুরু থেকেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলছেন নাঈম ইসলাম। এখন পর্যন্ত এ ডানহাতি ৬ ম্যাচে ২২ গজে নেমে দুটি হাফসেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরি করেছেন। এদিকে ওপেনার মেহেদী মারুফ পরপর সেঞ্চুরি করে দলটির ব্যাটিং শক্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়া মোহাম্মদ নাঈম ও জাকের আলি নিয়মিতই রানের দেখা পাচ্ছেন। এদিকে বল হাতে মোহাম্মদ শহিদ, নাবিল সামাদরাও সময়মতো জ্বলে উঠছেন। আজও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে লিজেন্ডসদের টানা পঞ্চম জয়ের স্বাদ দিতে চান তারা।
এখন পর্যন্ত ডিপিএলের চলতি আসরে সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতে রান রেটের সামান্য ব্যবধানে রূপগঞ্জ রয়েছে টেবিলের তিনে। সমান ম্যাচে সমান জয়ে শীর্ষে আবাহনী লিমিটেড। এরপরই রয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। চারে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্রিকেটের অবস্থান।