নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মহাদিঘীর রোজী বেগম নামে এক গৃহবধূ টার্কি পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি মুরগি পালন করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখে দিনযাপন করছেন। তার দেখাদেখি এখানকার অনেক পরিবার এখন ঝুঁকেছে টার্কি পালনের দিকে।
মহাদিঘী গ্রামের ইলেকট্রিশিয়ান
মো. মাসুদ রানা বিন্টুর স্ত্রী রোজী বেগম। বিয়ের আগে দেখেছেন বাবার টানাপড়েনের সংসার। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার পর দেখেছেন ইলেকট্রিশিয়ান স্বামীর দারিদ্র্য। দেখেছেন দিন শেষে বাড়ি ফেরা স্বামীর কর্মক্লান্ত মুখ। পরিবারের ন্যূনতম চাহিদা মেটাতে না পারায় স্বামীর লজ্জিত মুখ দেখেছেন। প্রথম সন্তান জšে§র পর বেড়ে যায় সংসারের খরচ। এ নিয়ে স্বামীর চিন্তিত মুখ দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়েন রোজী বেগম। ভাবতে থাকেন কীভাবে স্বামীর পাশে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে থাকা যায়। কীভাবে স্বামী-সন্তানদের জীবনে এনে দেওয়া যায় সচ্ছলতা। অনেক সময় অর্ধাহারে দিন কাটাতে হতো তাদের। এ দারিদ্র্যতার সঙ্গে লড়াই করে রোজী বেগম প্রতিবেশী মুনজুয়ারা বেগমের কথায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘আশা’র আত্রাই শাখায় ২০১৭ সালে সদস্য হিসেবে ভর্তি হন। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২১ হাজার টাকা ঋণ নেন। ওই অর্থ দিয়ে তিনি ও তার স্বামী বাড়িতে টার্কি পালন শুরু করেন।
এরপর রোজী বেগমকে পেছনে তাকাতে হয়নি। যখন তিনি প্রথমে এ ব্যবসা শুরু করেন, তখন তাকে ঋণ করে ব্যবসা শুরু করতে হয়েছিল। বর্তমানে তার নিজস্ব দুটি টার্কি ফার্ম রয়েছে। ওই ফার্ম দুটিতে ৯০টি টার্কি রয়েছে। টার্কির ডিম বিক্রি করে তিনি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তার মাসিক আয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
একেএম কামাল উদ্দিন টগর