Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 4:20 am

টিআর-কাবিটায় ২২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ২০২০-২১ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুই হাজার ২০৩ তিন কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) ও গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কর্মসূচি টেস্ট রিলিফ (টিআর) খাতে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে মোট এক হাজার ২১৬ কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারই প্রথমবারের মতো তৃতীয় কিস্তিতে এ দুই খাতে মোট ৯৮৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কাবিটা প্রথম কিস্তিতে ৩৮০ কোটি ৫১ লাখ ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ২৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। টিআর খাতে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ২৭৮ কোটি টাকা করে ৫৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে চলমান কর্মসূচির আওতায় অধিক গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে এবার প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির অতিরিক্ত তৃতীয় কিস্তিতে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কাবিটা খাতে ৫৭০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ও টিআর খাতে ৪১৭ কোটি টাকাসহ মোট ৯৮৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে এসব বিশেষ বরাদ্দ দেশের প্রতিটি গ্রামকে নগর সুবিধার আওতায় আনতে ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে। গ্রামীণ রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার এবং অবকাঠামো উন্নয়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভার অনুকূলে এসব বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তৃতীয় কিস্তিতে সংসদ সদস্যদের প্রতি নির্বাচনী এলাকায় কাবিটা খাতে এক কোটি সাত লাখ ৮১ হাজার ২৮৪ টাকা ও টিআর খাতে ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি সংরক্ষিত মহিলা আসনে কাবিটা খাতে ৩৪ লাখ ২৪ হাজার ৬৪৩ টাকা ও টিআর খাতে ২৫ লাখ দুই হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

প্রতিটি উপজেলা পরিষদে কাবিটা খাতে গড়ে ৫২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা ও টিআর খাতে ২৯ লাখ ৬৬ হাজার ৪৬৩ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি বিভাগে টিআর খাতে ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ টাকা করে মোট ছয় কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও প্রতিটি জেলায় ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮৭ টাকা করে মোট ১২ কোটি ৫০ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৮ টাকা এবং প্রতিটি পৌরসভায় পাঁচ লাখ আট হাজার ৫৩৬ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়।

বরাদ্দকৃত অর্থে গ্রামীণ অবকাঠামো তৈরি হলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে।