রুপম আচার্য্য, মৌলভীবাজার: সংগীতের রিয়্যালিটি শো ‘টিএসএস সুপার সিঙ্গার সিজন-২’-এর চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হলেন সুনামগঞ্জের মেয়ে প্রভাতী গোস্বামী পপি। গত বুধবার রাতে মৌলভীবাজারের শিল্পকলা একাডেমিতে জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ রিয়্যালিটি শো’র দ্বিতীয় আসর।
পারফর্ম্যান্স বিবেচনায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন বিচারকরা। বিচারকের রায়ে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলেন প্রভাতী গোস্বামী পপি এবং প্রথম রানারআপ শিমলা মুন্ডা ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন রাজশ্রী চৌধুরী হƒদি। টিসএসএস সুপার সিঙ্গার সিজন-২-এর এবারের আসরে গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে পারফর্ম করেন সর্বশেষ ১২ প্রতিযোগী রাজন সূত্রধর, প্রভাতী গোস্বামী পপি, পূর্বা দে, তৃষা চন্দ মৌ, অর্পিতা রানী তালুকদার, বনশ্রী দাস, তমা আচার্য্য, রাজশ্রী চৌধুরী হƒদি, রোদেলা হক নীলা, সিমলা মুন্ডা, কেয়া দেব ও সিমন সায়ন চৌধুরী। প্রধান বিচারকের আসনে ছিলেন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ড. অনুপম কুমার পাল, বাংলার গায়েন সিজন-২-এর চ্যাম্পিয়ন বাঁধন মোদক ও বাংলাদেশ আইডলের দ্বিতীয় রানার আপ মন্টি সিনহা। এছাড়া জুরি বোর্ডে ছিলেন ডা. বিনেন্দু ভৌমিক, জয়দীপ রায় রাজু, শংকর ধর, সৈয়দ মুনিম আহমেদ, গোপন চক্রবর্তী, ইপা বড়ুয়া ও সুমিত পাল।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন বিশ্বজিৎ দত্ত বিজিত ও দেবযানী রায়। এবারের দ্বিতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন পেয়েছে স্কেল চেঞ্জার হারমোনিয়াম, প্রথম রানারআপ পেয়েছে সেমি প্রফেশনাল কীবোর্ড ও দ্বিতীয় রানারআপ পেয়েছে গিটার। চ্যাম্পিয়ন প্রভাতী গোস্বামী পপি অনুভূতি ব্যক্ত করে শেয়ার বিজকে বলেন, ‘জীবনের প্রথম কোনো রিয়্যালিটি শো’তে অংশগ্রহণ করেছি, চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। খুবই ভালো লাগছে, এককথায় দারুণ। এই প্রতিযোগিতা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। সিলেট থেকে দ্রুত রওনা হয়ে ঝড়বৃষ্টির মধ্যেও অনুষ্ঠান এসে উপস্থিত হই। আমি ছিলাম ১২ নম্বর শেষ প্রতিযোগী। তাড়াহুড়ো করে গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে গান করি। আমি যে গান গেয়েছি, পুরোটা আমার ফিলে করেছি। আমার তো সিচুয়েশনই এমন ছিল। খাওয়া নেই, ঘুম নেইÑসব মিলিয়ে খুব দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
টিএসএস সুপার সিঙ্গার রিয়্যালিটি শো’র আয়োজন করে ডিভোটি টিএসএস মৌলভীবাজার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওই রিয়্যালিটি শো’র আহ্বায়ক প্রদীপ চন্দ্র নাহা ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট প্রীতম দত্ত সজীব। প্রীতম দত্ত সজীব শেয়ার বিজকে বলেন, ‘গত বছর ২০২৩ সালে আমরা মৌলভীবাজার জেলাভিত্তিক টিএসএস সুপার সিঙ্গার প্রথম আসরের আয়োজন করি। এ বছর আমরা সিলেট বিভাগের প্রায় চারশ’র অধিক প্রতিযোগী নিয়ে দ্বিতীয় আসরের আয়োজন করেছি। ইচ্ছা রয়েছে আগামীতে আমরা অনেক বড় পরিসরে তৃতীয় আসরের আয়োজন করব, তাতে অনেক চমক থাকবে।’
উল্লেখ্য, ‘এবারের আসরে সিলেট বিভাগ থেকে অংশ নিয়েছিল ৪৫০ প্রতিযোগী। তাদের মধ্য থেকে এক মাসের লড়াই শেষে সেরা হয়ে ওঠেন ১২ প্রতিযোগী। এই ১২ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন গ্র্যান্ড ফিনালেতে। এর আগে ২০২৩ সালে প্রথম আসর শুধু মৌলভীবাজার জেলা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
