শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান অ্যালেক্স পার্লম্যান প্রায় এক দশক আগে ক্যারিয়ার থেকে ইতি টানেন। দীর্ঘদিন পর টিকটকে পপ সংস্কৃতি ও রাজনীতি নিয়ে মজা করে ভিডিও শেয়ার শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যে তার অনুসারির সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়ে যায়। দেশটিতে টিকটক নিষিদ্ধ করা হলে তার মতো নির্মাতারা আর্থিক ক্ষতিতে পড়বেন। খবর: ইউএস নিউজ।
পার্লম্যানের মতো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অনেক টিকটক নির্মাতা গত বুধবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের পাস করা একটি বিল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিলে বলা হয়েছে, চীনভিত্তিক মালিক বাইটড্যান্স তার শেয়ার বিক্রি না করলে জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করা হবে। এই বিল পাসের পর এখন জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মূল মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে অ্যাপটির মালিকানা ছেড়ে দেয়ার জন্য ছয় মাস সময় বেঁধে দেয়া হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে মালিকানা হস্তান্তর করা না হলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ব্যবহার চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সিনেট অনুমোদন দিলে শিগগির বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আবার কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কনটেন্ট নির্মাতারা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, যারা তাদের আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের জন্য টিকটকের ওপর নির্ভরশীল।
ফিলাডেলফিয়ায় বসবাসকারী পার্লম্যান বলেছেন, টিকটক তার জীবনকে বদলে দিয়েছে। এমন আরও অনেক মানুষ রয়েছেন, যাদের আয় মূলত টিকটকনির্ভর।
২০১২ সালে চালু হওয়া টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে ভীষণ জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব বা ফেসবুকের চেয়ে এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। তবে ব্যবহারকারীর তথ্যের নিরাপত্তাহীনতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা এটি নিষিদ্ধের পক্ষে। বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে নিবন্ধিত। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপজুড়েও তারা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।