টিকার আওতায় ১২ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকার আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ। কেবল গত ১৩ দিনে টিকা দেয়া হয়েছে দুই কোটি ৩২ লাখ মানুষকে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা একটা বিশেষ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করি। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত বিশেষভাবেই এটার দিকে নজর দেয়া হয় ক্যাম্পেইন ও ক্যাম্পেইনের সময় বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য। আর এই ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে দুই কোটি ৩২ লাখ মানুষকে। দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি সাত লাখ মানুষকে। সঙ্গে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে ১০ লাখ মানুষকে।’

তিনি বলেন, ‘সেই হিসাবে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত মোট তিন কোটি ৪৯ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি বিভিন্ন ডোজে।

দেশে এখন পর্যন্ত ২৯ কোটি ৬৪ লাখ টিকা পাওয়া গেছে বলে জানিয়ে ডা. শামসুল হক বলেন, ‘এর মধ্যে প্রথম ডোজ দিয়েছি ১২ কোটি ৪৭ লাখ মানুষকে, দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি আট কোটি ৪৮ লাখ মানুষকে এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৩৯ লাখ মানুষ।’ আর স্কুলের এক কোটি ৬৯ লাখ শিক্ষার্থীও পেয়েছে টিকা।

প্রসঙ্গত, দেশে গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার জন্য বিশেষ ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই সময় তারা জানায়, টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার এটাই শেষ সময়। এরপর আর প্রথম ডোজ দেয়া হবে না। এ সংবাদে টিকাদান কেন্দ গুলোয় ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। অধিদপ্তর আরও দুদিন বিশেষ এ কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল জানিয়েছে, টিকার প্রথম ডোজ এখনও দেয়া যাবে।

ডা. শামসুল হক বলেন, সাভার, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরÑএসব জায়গায় শিল্পকারখানা বেশি। অনেক মানুষ আমাদের টিকার আওতার বাইরে ছিলেন। তাদের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে টিকাদান কার্যক্রম আরেকটু বাড়াতে পারবেন। এই সুযোগ তাদের দেয়া হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০