নিজস্ব প্রতিবেদক: ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনাররা এখন থেকে দুই ডোজের টিকার কার্ড নিয়ে গেলে বুস্টার ডোজ দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এ মাসের শেষের দিকে অ্যাপের মাধ্যমে শুরু হবে। এখন এ নিয়ে কাজ করছে আইসিটি মন্ত্রণালয়। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কভিড নিয়ন্ত্রণে সফলতার উদাহরণ হয়েছে। সব হাসপাতালে এখন অক্সিজেন সাপোর্ট আছে। সংক্রমণ কমে গেছে। এটা ধরে রাখতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কভিড নিয়ন্ত্রণে টিকা কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে সাত কোটি, যা শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে সাড়ে চার কোটি, শতকরা হিসাবে তা ৩০ ভাগ। তিনি বলেন, সরকারের টার্গেট ১২ থেকে ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া। এখন পর্যন্ত দেয়া হয়েছে ৩০ ভাগ মানুষকে।
জাহিদ মালেক বলেন, ওমিক্রন বিশ্বের ৯০ দেশে ছড়িয়ে গেছে। আমাদের দেশেও ধরা পড়েছে। কিন্তু মানুষ মাস্ক পরছে না এবং স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না। এ জন্য ওমিক্রন বাড়ার আশঙ্কা করছে সরকার। সারাদেশের মানুষ যাতে আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, এ জন্য জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’
আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীও মালদ্বীপ যাবেন। বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিতে চায় মালদ্বীপ। এ সফরে এ ব্যাপারে চুক্তি করবে দু’দেশ।
রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং বিনোদনকেন্দ্রে মানুষের সমাবেশে মাস্ক না পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ মাস্ক না পরেই ভিড় করছেন, রাজনৈতিক সমাবেশেও মাস্ক পরছে না মানুষ। এতে কভিড সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্বের ৯০ দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে গেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশেও ধরা পড়েছে। কিন্তু মানুষ মাস্ক পরে না এবং স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না। এজন্য ওমিক্রন বাড়ার আশঙ্কা করছে সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিভিন্ন কর্মসূচিতে মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় ঢিলেমি এবং মাস্ক না পরে বেড়ানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বরের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলে তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষেল ঢল নামে। এসব কর্মকাণ্ডে স্বাস্থ্যবিধি মানায় উদাসীনতা দেখা যায়।’
আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কভিড নিয়ন্ত্রণের ধারা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনার কথাও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।