কাইমুল ইসলাম ছোটন, কক্সবাজার: সারাদেশের মতো কক্সবাজারে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কার্যক্রম। জেলায় টিকা পাচ্ছেন ৪৫ হাজার ৬০০ জন। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে ৪টি পৌরসভা ও ৭১ ইউনিয়নে একযোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে পঁচিশোর্ধ্ব নারী ও পুরুষ এবং বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।
জেলার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে ইউনিয়নভিত্তিক ৬০০ জনকে টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনটি করে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়োজিত রয়েছেন।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের ১০ ও ১২ আগস্ট টিকা দেয়া হবে। টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা নিরলস কাজ করছেন। গতকাল কক্সবাজারে অতি বৃষ্টি উপেক্ষা করে টিকা নিতে দেখা গেছে। বড় মহেশখালী ইউনিয়নে টিকা নিতে আসা সবাই পেয়েছেন নাশতার প্যাকেট, যা ছিল ব্যতিক্রম। এমনটি আর কোনো ইউনিয়নে দেখা যায়নি। ফলে মানুষ আরও টিকা নিতে ছুটে আসছেন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকতে হলেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাই টিকা নিয়েছেন। বিষয়টি জেলায় আলোড়ন তুলেছে।
কথা হয় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ডেজি আকতারের সঙ্গে। বয়স ৫২ বছর। বৃষ্টি উপেক্ষা করে টিকা নিতে এসেছেন। তিনি বলেছেন, পাহাড়ি দ্বীপে দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মৃত্যুবরণ করেছেন পাঁচজন। করোনা থেকে বাঁচতে টিকা নেয়া প্রয়োজন।
জয়নাল আবেদিন বলেন, সরকার বিনা খরচে ভ্যাকসিন দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা নিতে ভালো লাগছে। অন্যদেরও টিকা নিতে আহ্বান জানান তিনি।
মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাল বাবুল শেয়ার বিজকে বলেন, বয়স্করা অনেক কষ্টে বৃষ্টি উপেক্ষা করে টিকা নিতে আসছেন। তাদের উদ্বুদ্ধ করার এই আয়োজনটি করা হয়েছে। টিকা গ্রহণকারী ৬০০সহ ৮০০ জনকে নাশতা দেয়া হয়েছে। টিকার ক্যাম্পেইন পর্যন্ত এটা চলমান থাকবে বলে তিনি জানান। �