Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 7:23 pm

টিকা সংগ্রহে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চাইলেন অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ববাজারে করোনাভাইরাসজনিত রোগ কভিড-১৯-এর টিকা আসার সঙ্গে সঙ্গেই যাতে বাংলাদেশ সংগ্রহ করতে পারে, সে বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। টিকা ক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিতরণের জন্য বিদ্যমান সহায়তা প্যাকেজের অতিরিক্ত ৫০ কোটি ডলারের সহায়তার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি ভার্চুয়াল সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফারের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ছিলেন হার্টউইগ শেফার ও সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি মিয়াং টেম্বন।

করোনার টিকা আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সব জনগণের জন্য তার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের আইডিএ-১৯ প্যাকেজের অতিরিক্ত বরাদ্দ হিসেবে ৫০ কোটি ডলারের সহায়তার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। এছাড়া কভিড-১৯ জনিত কারণে সংঘটিত দেশের বিভিন্নমুখী ক্ষয়ক্ষতি পূরণের লক্ষ্যে এর আগে প্রস্তাবিত কভিড-১৯ রিকভারি অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে যে ৫০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে চলতি অর্থবছরে জরুরি ভিত্তিতে কমপক্ষে ২৫ কোটি ডলার ছাড়করণে বিশ্বব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

সভার শুরুতে অর্থমন্ত্রী কভিড-১৯ টিকা ক্রয়ে ঋণ সহায়তার ক্ষেত্রে আইডিএভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যাধিক্যের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে দ্রুত ঋণ মঞ্জুরে উদ্যোগ নিতে হার্টউইগ শেফারের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি কভিড-১৯ মোকাবিলার ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে ১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লিখিত বিষয়গুলোর বাইরে চলমান করোনা মহামারিজনিত কারণে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিক খাত সচল রাখার লক্ষ্যে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি) প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় কিস্তির ২৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দ্রুত ছাড়করণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জবস ডিপিসের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলির অধিকাংশই ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। অবশিষ্ট শর্তাবলিও সহসাই পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আবদুর রউফ তালুকদার অবহিত করেন।

ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন আলোচনা বলেন, আইডিএ-১৮-এর আওতায় বাংলাদেশ কোর আইডিএ থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার এবং এসইউএফ থেকে আরও দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, যা আইডিএভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। তিনি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করায়, আইডিএ-১৯-এর আওতায় বাংলাদেশকে বিগত বছরগুলোর তুলনায় অধিক বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানান।