নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ টিকা দিতে জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। গতকাল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ প্রতিশ্রুতি দেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
ইতো নাওকি বলেন, কভিড মহামারিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক গতিধারা সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থান তুলে ধরেছে।
তিনি বলেন, আগামী বছরের শেষ নাগাদ ঢাকার অদূরে আড়াইহাজারে ‘জাপান অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপনের কাজ শেষ হলে জাপানি বিনিয়োগ উল্লেখজনক হারে বাড়বে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের চলমান কার্যক্রম সম্পন্ন হলে সার্বিকভাবে বাংলাদেশ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপানভিত্তিক মোটর কোম্পানি মিতসুবিশি সম্প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের লক্ষ্যে তাদের সম্ভাব্যতা জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে নিজেদের কারখানা নির্মাণে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবে।
আরও বেশি হারে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়নে তিনি কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, পণ্য আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ার সহজীকরণ, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং ইপিজেড ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের কাজ দ্রুততর সময়ে সম্পন্ন করার ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের অধিকতর সম্প্রসারণে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব করেন এবং এ লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার ও বাংলাদেশস্থ জাপান দূতাবাসকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ও জাপানের মধে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। বাংলাদেশের মানুষকে কভিড টিকা দেয়ায় জাপানকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতের পণ্যই বেশি হারে জাপানে রপ্তানি করে থাকে। পাশাপাশি জাপানে বাংলাদেশের অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন ডিসিসিআই সভাপতি। বিশেষত মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে জাপানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এনকেএ মবিন, সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন ও জাপান দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি শিরাহাতা কাসুমি সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।
