Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 8:20 pm

টিকে গেলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপরই আস্থা রাখলেন যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ দলের সংসদ সদস্যরা। গত সোমবারের আস্থা ভোটে জনসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২১১ সংসদ সদস্য। তার বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৮টি। খবর: বিবিসি।

দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জনসনের ওপর এখনও আস্থা রয়েছে কি না, সে সিদ্ধান্ত জানাতে হাউস অব কমন্সে গোপন ব্যালটে ভোট দেন কনজারভেটিভ দলের আইনপ্রণেতারা। সেই অনাস্থা ভোটে জিতে জনসনই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থাকছেন। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্রাডি ভোটের ফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আমি ঘোষণা করছি, প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রয়েছে পার্লামেন্টারি দলের।

এর অর্থ, আঁচ পড়ল না পার্টিগেট কেলেঙ্কারির। ফলে আগামী এক বছর তার মসনদ একপ্রকার সুরক্ষিত বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ব্রিটিশ আইনমতে, একবার অনাস্থা ভোট হয়ে যাওয়ার পর এক বছর ফের প্রস্তাব পেশ করা যায় না।

গত সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী জনসন। তার পক্ষে ২১১টি ভোট পড়েছে, আর বিপক্ষে ১৪৮টি। ২০১৯ সালে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় এলেও পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে কয়েক দিন ধরে অস্বস্তিতে রয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। অস্বস্তি বাড়িয়ে তারই নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির অন্তত ৫৪ সংসদ সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ডাক দেন। জনসনকে সরাতে অন্তত ১৮০ কনজারভেটিভ সংসদ সদস্যকে তার বিরুদ্ধে ভোট দিতে হতো। ভোটে জনসন কনজারভেটিভ দলের ৫৮ দশমিক আট শতাংশ সংসদ সদস্যের সমর্থন পেয়েছেন। আর তার ওপর আস্থা হারিয়েছেন ৪১ দশমিক দুই শতাংশ টোরি সদস্য। অর্থাৎ বিতর্ক থাকলেও দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের যে এখনও বরিসের ওপরই আস্থা রয়েছে, তা ফের প্রমাণিত হলো।

উল্লেখ্য, কভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য দীর্ঘ দুই বছর লকডাউন জারি ছিল ব্রিটেনে। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অনেক পার্টির আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে অন্তত তিনটিতে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েক মাস আগে কয়েকটি প্রথম সারির ব্রিটিশ গণমাধ্যমে জনসনের পার্টিতে উপস্থিত থাকার কিছু ছবিও প্রকাশিত হয়। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। সেই পার্টিগেট কেলঙ্কারিতে গত ফেব্রুয়ারিতে ডাউনিং স্ট্রিটে প্রতিবেদন জমা দেন বর্ষীয়ান ব্রিটিশ আমলা স্যু গ্রে। রিপোর্টে বরিস জনসন সরকারের ‘নেতৃত্বের ব্যর্থতা’র কড়া সমালোচনা করেন তিনি।